নারায়ণগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে ছুরিকাঘাতে মো. মাহফুজ (২০) নামে এক কলেজছাত্র খুন হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে নগরীর টানবাজার ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মাহফুজ খানপুর বউবাজার এলাকার হারুনুর রশীদের ছেলে। সে নারায়ণগঞ্জ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছিল। পাশাপাশি একটি কারখানায় অপারেটর হিসেবে চাকরি করতো।
মাহফুজের মা মাবিয়া বেগম শনিবার দুপুরে শহরের খানপুর নিজ বাড়িতে কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের বলেন, “মেসে রান্না কইরা খাওয়াইয়া ছেলেরে বড় করছি। তিন মেয়ের পর একমাত্র ছেলে ছিল মাহফুজ। আমার সব শেষ গো আল্লাহ”।
এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আজিজুল হক বলেন, দেড় বছর পূর্বে শহরের দেওভোগের কিছু যুবকের সাথে শহরের চাষাঢ়ায় শহীদ মিনারের সামনে মারামারি হয় মাহফুজ (নিহত), মেহেদী, সায়েম ও তাদের বন্ধুদের। তারপর থেকে মাহফুজ ও তার বন্ধুরা অপেক্ষায় থাকে ওই মারামারির প্রতিশোধ নেওয়ার। শুক্রবার মাহফুজরা জানতে পারে, ওই যুবকরা পিকনিক শেষে রাতে টানবাজার ঘাট দিয়ে ফিরবে। তাদের সাথে ঝামেলা করার উদ্দেশ্যে টানবাজারে যায় তারা। সেখানেই প্রতিপক্ষের মারধর ও ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয় মাহফুজ। পরে রাত আড়াইটায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মেহেদী, সায়েম ও তমাল নামে তিনজনকে থানায় নিয়েছে পুলিশ। তারা তিনজনই খানপুর ও আশপাশের এলাকার বাসিন্দা।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ জামান বলেন, ঘটনার সময় সাথে থাকা তিন সহকর্মীর সাথে কথা বলে বিস্তারিত জানা হচ্ছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। একই সাথে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
নিহত মাহফুজের বড় বোন পলি বেগম বলেন, শুক্রবার বিকালে কাজ থেকে ফেরার পর মাহফুজকে দুই সহকর্মী ও বন্ধু মেহেদী (২১) ও সায়েম (২০) বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। পরে ছুরিকাঘাতের পর মাহফুজ মারা গেছে জানতে পারি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল