দ্বিতীয় দিনের মতো রংপুর থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বুধবারও মালিক-শ্রমিকের কোনো সমঝোতা না হওয়ায় ঢাকাগামী শত শত যাত্রী চরম দুর্ভোগে পড়েছে। এদিকে, ধর্মঘট নিয়ে মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এম এ মজিদ বলেন, তারা ধর্মঘট ডাকেননি। মালিক পক্ষ এই ধর্মঘট করছে। অপরদিকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি ও রংপুর জেলা মটর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান রাঙ্গা এমপি বলেছেন, এই ধর্মঘটের সাথে পরিবহন মালিক সমিতির কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কেউ কেউ নিজ উদ্যোগে ধর্মঘট পালন করছেন। ধর্মঘটের জন্য দুই পক্ষ পরস্পর পরস্পরকে দায়ী করলেও সমস্যা নিরসনের উদ্যোগ এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই গ্রহণ করেনি।
তবে কামারপাড়া ঢাকা কোচ স্ট্যান্ড উপ-কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিঠু বলেন, এই স্ট্যান্ডে আমার জানা মতে শ্রমিকরা পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়নি। তবে মালিকরা কী কারণে পরিবহনগুলো বন্ধ রেখেছে, সেটি আমরা জানি না। শুধু শুনেছি, ঢাকায় আজ বিকেলে নাকি একটা বৈঠক হবে। সেখান থেকে বাসমালিকরা তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন।
বুধবার দুপুরে রংপুর নগরীর কামারপাড়া ঢাকা কোচস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, শ্রমিকরা অলস সময় পার করছেন। ঢাকার উদ্দেশে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। ধর্মঘটের প্রথমদিন মঙ্গলবার এনা ও শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের কয়েকটি বাস চলাচল করলেও আজ তা বন্ধ রয়েছে।
শ্রমিকদের দাবি, ২-৩টি পরিবহনের চালকদের বেতন ১ হাজার ৯৫০ টাকা, সুপারভাইজারের বেতন ৯০০ টাকা আর হেল্পারের বেতন ৮০০ টাকা করে দেওয়া হয়। সেখানে অন্য সব পরিবহনের স্টাফদের প্রায় এর অর্ধেক বেতন-ভাতা প্রদান করা হয়। এই বৈষম্য দূর করে বেতন-ভাতা বৃদ্ধির জন্য তারা মালিক পক্ষের কাছে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের কোনো দাবি মেনে নেওয়া হয়নি। এছাড়া সড়কে পুলিশি হয়রানি ও চাঁদাবাজি বন্ধ, বিভিন্ন সময়ে মামলায় আটক শ্রমিকদের মুক্তিসহ পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নে পরিবহন মালিকসহ প্রশাসনের সহযোগিতা দাবি করেন তারা।
বিডি প্রতিদিন/এমআই