নারায়ণগঞ্জ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব ও সোনারগাঁওয়ের ফজলুল হক মহিলা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে (৫৪) রাজধানীর পল্টনে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত ১০ টা) চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। তার শরীরের বিভিন্নস্থানে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি। সোমবার (২৫ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে পল্টনে কস্তুরী হোটেলের সামনে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
মামুন মাহমুদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার ব্যক্তিগত সহকারী দিদার মহসিন। তিনি জানান, পল্টন এলাকায় নারায়ণগঞ্জ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির বিশেষ সভা ছিলো। মামুন মাহমুদ ঐ সভা শেষ করে অফিস থেকে বেরিয়ে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় কয়েকজন তার গতিরোধ করেন। এক পর্যায়ে তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন। এতে মামুন গুরুতর আহত হন। তার শরীরের ৫ টি স্থানে গুরুতর জখমের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি জানান, আমাদের দলীয় বৈঠক ছিল পল্টনে মামুনের অফিসে। দুপুর ৩টা থেকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির জরুরী বৈঠক চলে। ইফতারের পর আমরা চলে আসি। কে বা কারা তাকে ছুরিকাঘাত করেছে জানি না। তবে এ আক্রমণ ছিনতাইকারীদের না বলে আমরা মনে করি। যদি ছিনতাইকারীরা এ কাজ করতো তবে তো টাকা পয়সা নিতো।
পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দীন মিয়া বলেন, পুরানা পল্টন কস্তুরী হোটেলের গলি এলাকায় একটা ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ঘটনার সময় জুয়েল নামে একজনকে স্থানীয়রা ধরে গণধোলাই দিয়েছে, তিনিও হাসপাতালে আছেন। বিষয়টি ছিনতাই কিনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল