রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ভাড়া নিয়ে বিতর্কের জেরে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে আবু সায়েম মুরাদ (৩৫) নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে চালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে।
ঘটনার পর পর চালক ও হেলপারকে গণধোলাই দিয়ে বাসটিতে আগুন দেয় উত্তেজিত জনতা। গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক রোডে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ বাসের চালক সালাউদ্দিন (৪০) ও হেলপার মোহনকে (২২) আটক করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করে। আর মুরাদের লাশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়।
দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী শহিদ ফারুক সড়কের হেদায়েত উল্লাহর ছেলে আবু সায়েম মুরাদ। তিনি মতিঝিলে একটি বায়িং হাউসে চাকরি করতেন। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। তার বড় ভাই আবু সাদাত সায়েদ অভিযোগ করেন, ৮ নম্বর বাসে চড়ে বাসার উদ্দেশ্যে ফিরছিলেন তার ভাই। বাসে হেলপার এক যাত্রীর কাছ থেকে বেশি ভাড়া নিয়েছেন। তিনি এর প্রতিবাদ করেছিলেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। যাত্রাবাড়ীতে নামার সময় তার ভাইকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। এতে ওই বাসের পেছনের চাকা তার মাথার ওপর দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান মুরাদ।
এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, নিহত যাত্রী মুরাদ মতিঝিল থেকে অফিস শেষ করে আট নম্বর বাসে করে ফেরার সময় হেলপারের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে তর্কাতর্কি হয়। বাস থেকে নামার সময় হেলপার মুরাদকে ধাক্কা দেয়। ধাক্কা খেয়ে তিনি গাড়ির চাকার নিচে পড়ে যান।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় উপস্থিত অন্য যাত্রী ও স্থানীয়রা বাসের চালক মো. শাহ আলম (৪৫) ও হেলপার মোহনকে (২২) পিটুনি দিয়ে আমাদের কাছে সোপর্দ করেছেন। ঘাতক বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন তারা।
বিডি-প্রতিদিন/আরাফাত/শফিক