রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে ১১ মাস ধরে পড়ে রয়েছে ভারতীয় নাগরিক প্রবীর মন্ডলের (৪১) লাশ। পুলিশ বলছে, প্রবীরর মন্ডলের পরিবারে সাথে যোগাযোগ করা হলেও তারা লাশ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন না। মানবাধিকার সংগঠন বলছে তারা লাশ হস্তান্তরের বিষয়ে কাজ করছেন।
পাটগ্রাম পুলিশ ও রমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনার নিমচা মৈত্রি স্ট্রিট এম আলম বাজার এলাকার মহাদেব মন্ডলের পুত্র প্রবীর মন্ডল ২০১৮ সালে ১৬ মার্চ বাংলাদেশে এসে ঢাকায় অবস্থান করেন। তিনি ছোটখাট ব্যবসা করতেন। ঢাকায় অবস্থান কালেই তার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যায। পরে তিনি পাতানো এক বোনকে নিয়ে পাটগ্রামের পৌর এলাকায় ব্যাংক কান্দা এলাকায় একজনের বাড়িতে উঠেন। গত বছরের ৮ নভেম্বর তিনি অসুস্থ হলে তাকে পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে সেখানে তিনি মারা যান। পরে লাশটি লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। লালমনিরহাট হাসপাতাল থেকে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য রমেক হাসপাতালে পাঠান। ময়নাতদন্ত শেষে লাশটি রমেক হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়। সেখানেই এখন পর্যন্ত লাশটি রয়েছে। যে মেয়েটিকে সাথে করে প্রবীর মন্ডল পাটগ্রামে এসেছিল পুলিশ তাকে জিজ্ঞসাবাদ করে অভিভাবকের জিম্মায় দিয়ে দিয়েছেন।
পাটগ্রাম থানার ওসি ওমর ফারুক জানান, এবিষয়ে ভারতীয় দূতাবাসকে জানানো হয়েছে। মৃতের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। মৃতের পরিবার লাশ নিতে খুব একটা আগ্রহ প্রকাশ করছে না। ফলে লাশ হস্তান্তর সম্ভব হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. শরীফুল হাসান, জানান হিমঘরে অনুমতি সাপেক্ষ লাশ রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়াটি অবগত নন জানিয়ে তিনি বলেন বিষয়টি ফরেনসিক বিভাগ বলতে পারবে।
রমেকের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ড. রাজিবুল ইসলাম বলেন, আমরা লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিয়েছি।
বাংলাদেশ-ভারত বর্ডার ভিকটিম লিগ্যাল রেসকিউ ফোরাম বাংলাদেশ অংশের আহ্বায়ক আব্রহাম লিংকন বলেন, এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল