রাজধানীর ধানমন্ডিতে এক বিউটিশিয়ানকে পার্লার সেবার কথা বলে বাসায় ডেকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন মো. রিয়াদ ও ইয়াছিন হোসেন ওরফে সিয়াম।
দুই দিনের রিমান্ড শেষে সোমবার তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর আসামিরা স্বেচ্ছায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। তবে পরে আসামিরা জবানবন্দি দিতে অসম্মতি জানালে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহম্মেদ হুমায়ুন কবীর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে, গত ১২ অক্টোবর রাতে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার তরুণী (২৫) পেশায় একজন বিউটিশিয়ান। আগে বিউটিপার্লারে কাজের অভিজ্ঞতা থাকায় ভিকটিম করোনা পরবর্তীসময়ে সেবা দিতে ফেসবুকে একটি পেজ খোলেন। তার কাছ থেকে আগে সেবা নেওয়া পরিচিত এবং অনলাইনে যোগাযোগ করা নারীরা তার প্রধান সেবাগ্রহীতা।
গত ১১ অক্টোবর বিকেলে ফোনে তেমনই একটি সেবাদানের (ফেসিয়াল) অনুরোধ পান ভুক্তভোগী তরুণী। তাসলিমা নামের এক নারী ফোন করেছিলেন বলে ভিকটিম পুলিশকে জানান। ওইদিন ভিকটিম সাভার থেকে ফেসিয়াল সেবা দিতে শুক্রাবাদ এলাকায় আসেন।
পথে তাসলিমার ভাই পরিচয়ে গ্রেফতার রিয়াদ ফোনে বেশ কয়েকবার তার সঙ্গে কথা বলেন। সন্ধ্যায় শুক্রাবাদ এলাকায় পৌঁছালে রিয়াদ ওই তরুণীকে তাদের ভাড়া বাসায় নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর সিয়াম ও জিতু নামে তার আরও দুই বন্ধুকে নিয়ে ঘরে প্রবেশ করেন রিয়াদ। এরপর ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা একে একে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক