লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি) সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেছেন, ‘দেশে সুশাসন ও ন্যায়বিচার নেই। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিকভাবে পরিচালনা করা যাচ্ছে না। আমরা এই দেশকে আবারও স্বাধীন করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য এটাই।‘
বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
সমাবেশে বিদ্যুৎ, জ্বালানিসহ নিত্যপণ্যের অসহনীয় মূল্যবৃদ্ধি, দুর্নীতি ও লুটপাট রাজনৈতিক জুলুম, গুম, খুনের প্রতিবাদ, বেগম খালেদা জিয়া ও সব রাজনৈতিক বন্দির নিঃশর্ত মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, নিশিরাতের অবৈধ সংসদ বাতিল ও সরকারের পদত্যাগ এবং অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের দাবি জানানো হয়।
ড. অলি আহমদ বলেন, ‘বর্তমান সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আমাদের কোনো ঝগড়া নাই। বঙ্গবন্ধুর কন্যা আপনি দেশ চালাতে ব্যর্থ হয়েছেন। দেশের মধ্যবিত্ত মানুষ ধ্বংস হয়েছে। দেশে দুর্নীতি হয় কিন্তু এই ধরনের লুটপাট হয় না। সরকার বলেছিল ১০ টাকা সের চাল খাওয়াবে। এখন সেই চাল ৬০ থেকে ৭০ টাকা হয়েছে। বিএনপির সমাবেশ বন্ধ করার জন্য সরকার কত বাধা সৃষ্টি করল কিন্তু সমাবেশ বন্ধ করতে পারল না। লাখো লাখো লোকের ঢল নেমেছে। আসলে এই সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ ক্ষেপে উঠেছে। সুতরাং মানুষের মনের কথা বোঝার চেষ্টা করেন। আপনার বিদায়টা যেন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে মুনাফিক ও বেঈমানের কোনো জায়গা নেই। বেগম জিয়ার মুক্তি চাই। বন্দি গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে হবে। দেশের জনগণ দিশেহারা। তাদের পকেটে টাকা নেই। দেশে সুশাসন ও ন্যায়বিচার নেই। যারা ক্ষমতায় আছে তারা নিশিরাতের সরকার। আমাদের দরকার গণতান্ত্রিক সরকার। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার। বেগম জিয়ার সরকার। আজকে দেশের ব্যাংকেও টাকা নেই। সরকারি কর্মকর্তারা স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারেন না।‘
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট আওরঙ্গজেব বেলাল, এনডিপির ক্বারী আবু তাহের, জাগপার একাংশের সভাপতি ব্যারিস্টার তাসিময়া প্রধান, রাশেদ প্রধান প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন