বরিশালে আজ বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। সমাবেশের জন্য প্রস্তুত নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যান। প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধু উদ্যানের অস্থায়ী মঞ্চে গণসমাবেশ করবে তারা। এ লক্ষ্যে নির্মাণ করা হয়েছে মঞ্চ। মাঠে এবং মাঠের বাইরে সাটানো হয়েছে শতাধিক মাইক। রাতে মাঠে রাত্রী যাপনের জন্য করা হয়েছে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। সমাবেশের দুইদিন আগে মাঠে অবস্থান নিয়েছে হাজার হাজার নেতাকর্মী। এখনও দলে দলে লোক আসছে সমাবেশস্থলে। খন্ড খন্ড মিছিলের মাধ্যমে তাদের উজ্জ্বীবিত রাখছে নেতাকর্মীরা। আজকের সমাবেশস্থল জনসমূদ্রে পরিনত করার মধ্য দিয়ে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করার কথা বলেন কেন্দ্রিয় বিএনপি নেতারা। তবে গণসমাবশেকে কেন্দ্র করে কোন নাশকতা হলে সমূচিত জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারী দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবশের দিকে দৃষ্টি এখন সবার। বঙ্গবন্ধু উদ্যানের পশ্চিমপ্রান্তে একটি অস্থায়ী মঞ্চে বক্তব্য দেবেন জাতীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। এ লক্ষ্যে ৫০ ফুট দির্ঘ এবং ২৫ ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট একটি বাঁশ-কাঠের মঞ্চ করা হয়েছে। মাঠে এবং আশপাশের বিভিন্ন সড়কে সাটানো হয়েছে শতাধিক মাইক। দুইদিন ধরে প্রত্যন্ত অঞ্চলের নেতাকর্মীরা মাঠে অবস্থা নেয়ায় তাদের নিরাপত্তার জন্য করা হয়েছে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা।
মহানগর বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আলী হায়দার বাবুল বলেন, স্থানীয় প্রশাসন বিএনপিকে মাঠের স্থায়ী মঞ্চ দেয়নি। এর আগে এই মাঠে সকল রাজনৈতিক কর্মসূচীতে স্থায়ী মঞ্চ ব্যবহার করা হয়েছে। এবার তারা স্থায়ী মঞ্চ ব্যবহার করতে না দেয়ায় বাধ্য হয়ে অস্থায়ী মঞ্চ করতে হয়েছে।
সমাবেশস্থলে শৃঙ্খলা রক্ষায়ও নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবায়দুল হক চাঁন। গণসমাবেশের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে তিনি জানান।
আজ জোহরের নামাজের পরই আনুষ্ঠানিক গনসমাবেশ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক। তার আগেই মাঠে হাজার হাজার কর্মী অবস্থান নিয়েছে বলে তিনি জানান। গণসমাবেশে কেন্দ্রিয় নেতাদের বক্তব্যে তৃনমূল নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হবে বলে আশা তার।
গনসমাবেশ বাধাগ্রস্থ করতে ক্ষমতাসীনরা সব চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও বিভাগীয় গনসমাবেশের প্রধান সমন্বয়ক প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, সমাবেশের একদিন আগেই মাঠ কানায় কানায় পূর্ন হয়েছে। আরও জনস্রোত আসছে। গনসমাবেশে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথি এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস থাকবেন প্রধান বক্তা হিসেবে। এছাড়া স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানসহ জাতীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন। আজকের বিভাগীয় গনসমাবেশের মধ্য দিয়ে সরকারকে লালকার্ড দেখানো হবে বলে তিনি জানান।
এদিকে দুইদিন ধরে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে অবস্থান নেয়া নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখতে মিছিলে মিছিলে মুখরিত করে রেখেছে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকমীরা। এর মাধ্যমে ঢাকার মহাসমবেশ সফল হবে বলে দাবী তাদের।
বিএনপির গনসমাবেশ ঘিরে কোন ধরনের নাশকতা হলে সমূচিত জবাব দেয়ার কথা বলেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস বলেন, আওয়ামী লীগ শান্তিতে বিশ্বাসী। তারা শান্তিপূর্ন জনসমাবেশ করলে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু যদি তারা নাশকতা করে তাহলে সমুচিত জবাব দেবে আওয়ামী লীগ।
বঙ্গবন্ধু উদ্যানে গনসমাবেশস্থলের উত্তরপাশে ৭ নভেম্বর একটি সরকারী অনুষ্ঠানের জন্য সংরক্ষিত রেখেছে প্রশাসন। এ নিয়ে ঝামেলার আশংকা দেখা দিয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ