তারেক জিয়ার নির্দেশে বিএনপি দেশে অস্থিতিশীল ও নৈরাজ্যকর পরিবেশ তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর মহাখালীর বটতলার ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের আয়োজিত ছাত্র সমাবেশের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আপনি বলছে ডিসেম্বর মাস বিএনপির, ১৯৭১ সালে ইয়াহিয়াও ঘোষনা দিয়েছিলেন ডিসেম্বর মাস পাকিস্তানের, শেষমেষ এই ডিসেম্বর মাসে পাকিস্তান বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল। মির্জা ফখরুল আপনার তো কিছু করার নেই, আপনি লন্ডন থেকে তারেক রহমানের নির্দেশ পালন করছেন। সকালে এক নির্দেশ, বিকালে আরেক নির্দেশ, সেই নির্দেশে আপনি উল্টাপাল্টা বলছেন।
তিনি আরো বলেন, ২০০১ সালে ১ অক্টোবর যখন টেলিভিশনে ঘোষণা আসলো বিএনপি ক্ষমতায় আসছে সেদিন রাতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা, মেয়েদেরকে ধর্ষন, বাড়ি বাড়িতে আগুন দিয়েছিল।
আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না জানিয়ে এসএম কামাল হোসেন বলেন, শেখ হাসিনা প্রতিহিংসার রাজনীতি করলে বেগম খালেদা জিয়া জেলখানার বাহিরে থাকতো না। মির্জা ফখরুল নিজের বিবেকের কাছে জিজ্ঞাসা করেন। '৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতির পিতাসহ পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিল। আমাদের নেত্রী যে দিনটির জন্য কষ্ট পান সেদিনেই আপনার নেত্রী খালেদা জিয়া জন্মদিন না, ভুয়া জন্মদিন পালন করে উল্লাস করে তাহলে প্রতিহিংসার রাজনীতি কে করে? খালেদা জিয়া করে, আপনারা করেন।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ২০০৪ সালে তারেক জিয়া হাওয়া ভবনে বসে '৭৫ এর খুনি ও '৭১ খুনিদের নিয়ে বৈঠক করে ২১ আগষ্টে গ্রেণেড মারেন। আজকের প্রধানমন্ত্রী, সেদিন বিরোধী দলীয় নেত্রীকে হত্যা করার জন্য, ১৩টি গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছিল, নারী নেত্রী আইভী রহমানসহ ২২ জন নেতাকর্মী জীবন দিল। পার্লামেন্টে বিরোধী দলীয় নেত্রীর মাইক বন্ধ করে দিলেন, কথা বলতে দিলেন না। মির্জা ফখরুল সেদিন খালেদা জিয়ার উচিত ছিল সহানুভূতি জানানো, কিন্তু জানালেন না। উল্টো উপহাস করে বললেন, শেখ হাসিনা ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে গেছে।
ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম হোসেনের সভাপতিত্বে ছাত্র সমাবেশে বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান, কার্যনির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপি, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য প্রমুখ। ছাত্র সমাবেশটি পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয়।
বিডি প্রতিদিন/এএ