বরিশালে বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) থেকেই বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে আসতে শুরু করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। সব হোটেল-মোটেল আগে থেকেই বুকিং হওয়ায় অনেকেই মাঠে রাত কাটাচ্ছেন। কাঁথা, কম্বল ও মাদুর নিয়ে মাঠেই বিছিয়েছেন বিছানা।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) রাতে বরিশালের সমাবেশস্থলের বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা যায় এমন চিত্র। বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুর আলম মূর্ধা বলেন, আমরা প্রায় দুই হাজার নেতাকর্মী নিয়ে মাঠের দক্ষিণ প্রান্তে জায়গা নিয়েছি। গত দুদিন ধরে এখানেই রাত কাটাচ্ছি। কালকের প্রোগ্রাম সফল করতে আমরা অনেক আগেই বরিশালে এসেছি ।
পিরোজপুর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন তালুকদার কুমার বলেন, কম্বল নিয়ে টানাটানি হতে পারে। তবে এটা আমাদের জন্য কোনো সমস্যা নয়। এই সরকারকে দ্রুত সরিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করবই। আমাদের একমাত্র দাবি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি।
ভোলা জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর বলেন, আমি একদিন আগেই নেতাকর্মীদের নিয়ে চলে এসেছি। এখন পর্যন্ত আমার প্রায় ১৫ হাজার নেতাকর্মী এসেছে। প্রথমত ঠান্ডা এরপর হোটেলে থাকার জায়গা নেই। তাই বাধ্য হয়েই নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠেই থাকতে হচ্ছে। সামান্য কম্বল সংকট রয়েছে কিছুই করার নেই।
পটুয়াখালী জেলা যুবদলের মনিরুল ইসলাম লিটন বলেন, আমি যুবদলের ২-৩ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে এসেছি। মাঠে ঠান্ডায় অনেক কষ্ট হচ্ছে। সবাই এক সঙ্গে না ঘুমিয়ে আড্ডা দিচ্ছি। সময় কাটছে, ভালো লাগছে। অনেকদিন পর এত মানুষ একসাথে হলাম। এত নেতা-কর্মীকে কম্বল দেওয়া সম্ভব না তাই একটু টানাটানি হতেই পারে।
পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের ৬-৭ হাজার লোক এসেছে। আরও ৭-৮ হাজার লোক ট্রলারসহ বিভিন্ন মাধ্যমে পথে রয়েছে। আশা করছি, সকালের মধ্যে সবাই চলে আসবে। যারা মাঠে রয়েছে তারা ঠান্ডায় একটু কষ্ট করছে। আমাদের তেমন কোন সমস্যা নেই। আমরা রান্নার সামগ্রী সরঞ্জাম সঙ্গে নিয়ে এসেছি। এখানে এসে রান্না করে খাচ্ছি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ