রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। বিএনপির অভিযোগ বর্তমান সরকারের অধিনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। তাদের মনে প্রশ্ন জেগেছে এটা নীল নকশা বাস্তবায়নের নির্বাচন, সেখানে অংশ গ্রহণ করে কী লাভ। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন না হওয়ার শঙ্কায় নির্বাচন না করার ঘোষণা দিয়েছে দলটি। অপরদিকে এবার জামায়াতে ইসলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। ফলে রসিক নির্বাচনকে ঘিরে নতুন মেরুকরণ দেখা দিয়েছে। অনেকে বলছেন জামায়তের প্রার্থী জাপা এবং আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থীকে বেকায়দায় ফেলতে পারেন।
জানা গেছে. রসিক নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য কয়েক মাস আগে থেকে মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক সামছুজ্জামান সামু, বিএনপি নেতা কাওসার জামান বাবলা ও যুব নেতা নাজমুল আলম নাজু প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। শনিবার দুপুরে মহানগরের আহ্বায়ক সামছুজ্জামান সামুর সাথে কথা হলে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন আওয়ামী লীগ সরকারের অধিনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। এটা দলীয় সিদ্ধান্ত। নির্বাচনের দিন কর্মীরা ঘরে বসে থাকবে। তারা ভোট দিতে যাবেন না। সরকার নীল নকশা নির্বাচনের পায়তারা করছে। এই সরকারের অধিনে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরী হবে না। তাই বিএনপি রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না।
এদিকে বিএনপি নির্বাচন না করলেও তাদের অন্যতম শরীক দল জামায়াতে ইসলামের মহানগরের সাবেক আমীর ও আঞ্চলিক নেতা মাহাবুবার রহমান বেলাল স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি এবং তার সমর্থকরা প্রচারণাও চালাচ্ছেন।
নির্বাচক বিশ্লেষকদের মতে বিগত নির্বাচনে বিএনপি’র প্রাথী ৩৭ হাজার ভোট পেয়েছিল। এবার বিএনপি অংশগ্রহণ না করলে বিএনপি’র সব ভোট জামায়াতের পক্ষে পড়বে। এছাড়া জামায়াতে নিজস্ব ভোট ব্যাংক রয়েছে। মাহাবুবার রহমান বেলালের পক্ষে ইতোমধ্যে কর্মীরা মাঠে রয়েছে। বিএনপি’র ছায়া সমর্থন নিয়ে জামায়াত এগিয়ে যেতে পারে। ফলে নির্বাচনে জামায়াতে ইসলাম একটা ফ্যাক্ট হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। অনেকে মনে করছেন বেলাল নির্বাচন করলে জাতীয় পাটির একটি অংশের ভোট তিনি পাবেন।
মাহাবুবার রহমান বেলাল বলেন, আমি জামায়াতে ইসলামের সাথে জড়িত থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রসিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। আশা করি সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি বিজয়ী হব। খুব দ্রুত আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণায় নামব। নির্বাচিত হলে তিনি পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর নগরী উপহার দিতে পারবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন।
এদিকে নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের ৬/৭ জন প্রার্থী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজনকে মনোনয়ন দিবেন। এছাড়া এখন পর্যন্ত জাতীয় পার্টির একক প্রার্থী রয়েছেন বর্তমান মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। ২৭ ডিসেম্বর ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল