রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের এক মাসের বেশি সময় বাকি থাকলেও নির্বাচন কমিশন থেকে বৈধ অস্ত্র জমা দেয়ার কোনো নির্দেশনা এখনো পায়নি নির্বাচন অফিস। নির্বাচনে সবগুলো কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। নির্বাচনে প্রায় আড়াই হাজারের মত ইভিএম মেশিনের প্রয়োজন রয়েছে। এর মধ্যে ১১০০ মত ইভিএম রংপুর নির্বাচন অফিসের কাছে রয়েছে। এসব ইভিএমের অধিকাংশ কোয়ালিটি চেকিংয়ের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এদিকে নির্বাচনের সময় বৈধ অস্ত্র জমাদানের কোন নির্দেশনা এখনো না আসায় আসন্ন সিটি নির্বাচনে বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ কারণে বৈধ অস্ত্রধারীদের গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা প্রয়োজন মনে করছেন সচেতন মহল। তথ্য মতে রংপুরে লাইসেন্সধারি শতাধিক বৈধ অস্ত্র রয়েছে। অস্থিতিশীলতা পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সিটি নির্বাচনে প্রার্থীদের পক্ষে বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার হতে পারে। ঘটতে পারে প্রাণহানিসহ নানা দুর্ঘটনা। এ কারণে সিটি নির্বাচনের আগ মুহূর্তে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি বৈধ অস্ত্র জমা নেয়া জরুরী বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
এদিকে রংপুর জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে থাকা প্রায় এক হাজার ইভিএম সচল করার জন্য ঢাকায় নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। এই মেশিনগুলো সময় ও তারিখসহ বিভিন্ন সমস্যায় ব্যবহার অনুপোযোগী হওয়ায় সচল করার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। জেলায় ইউপি নির্বাচন, সম্প্রতি জেলা পরিষদের নির্বাচনসহ গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে অনেক ক্ষেত্রে ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছে। বিশেষ করে জেলা পরিষদ নির্বাচনে পুরোটাই ইভিএম ব্যবহার করা হয়। আগামী ২৭ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। সে জন্য আগে থেকে নির্বাচন অফিসে থাকা ইভিএমগুলো ঢাকায় কমিশন কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। কিছু কিছু সমস্যা যেমন টাইম প্রবলেম, বাটনগুলো ঠিক মতো কাজ না করাসহ অনেক দিন ব্যবহার না করায় বিভিন্ন সমস্যা ছিল। রংপুর সিটি করপোরেরশন নির্বাচনে ২০১টি ভোটকেন্দ্রে আড়াই হাজারের মতো ইভিএম প্রয়োজন হবে। সে কারণে সচল এবং ব্যবহার উপযোগী মেশিন আনার জন্য পুরাতন ইভিএমগুলো কাভার্ডভ্যানে করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন জানান, নির্বাচনের এখনো এক মাসের বেশি বাকি রয়েছে তাই বৈধ অস্ত্র জমাদানের বিষয়ে ঢাকা থেকে এখনো কোনো নির্দেশনা অসেনি। নির্দেশনা এলেই অস্ত্র জমা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। ইভিএম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কিছু ইভিএম মেশিন কোয়ালিটি চেকিংয়ের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
আগামী ২৭ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ২৯ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। বাছাই ১ ডিসেম্বর, প্রত্যাহারের শেষ দিন ও চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ৮ ডিসেম্বর এবং ৯ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এবার নিয়ে তৃতীয় বারের মত রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল