ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন নগরজীবনকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে। তাই শহর ও মানুষ বাঁচাতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। যতদিন পর্যন্ত আমরা সবাই নিরাপদ হতে না পারছি, ততদিন পর্যন্ত কেউ নিরাপদ নয়।’
আজ সোমবার মিশরে মেয়রদের নিয়ে গঠিত বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম ‘সি-৪০ সিটিসের’ ভাইস চেয়ার হিসেবে চীনের শহরগুলো এবং সাউথ-সাউথ সিটিগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে জলবায়ু সহযোগিতা সম্পর্কিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘তীব্র দাবদাহ, অতিবৃষ্টি, বন্যা, ঘূর্ণিঝড় এবং লবণাক্ততার কারণে মানুষ নিজ অঞ্চল ছেড়ে শহরমুখী হচ্ছে। তারা ভাবছে অন্তত শহরে গেলে খেয়ে বাঁচতে পারবে। ঢাকা শুধু ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশের কেন্দ্র নয়, অর্থনৈতিক কেন্দ্রও। এজন্য জলবায়ু উদ্বাস্তুদের স্রোত বেড়েই চলেছে।’
তিনি বলেন, ‘মেয়র হিসেবে শহর ও জনগণের প্রতি দায়িত্ব আছে। অবশ্যই তাদের সুস্থতা, মর্যাদা এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন রুখতে আরও বেশি স্থিতিস্থাপকতা অর্জন করতে হবে।’
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অবকাঠামো এবং পরিবহনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অংশীদারত্বমূলক জোরালো ইতিহাস রয়েছে উল্লেখ্য করে চীনের প্রতিনিধিদের উদ্দেশে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনই সময় এসেছে এ অংশীদারিত্বকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সম্প্রসারিত করা। চীন হতে পারে আমাদের রোলমডেল।’
ন্যাচার বেইজড সলিউশনের গুরুত্ব তুলে ধরে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘বেদখল খাল ও জলাশয় উদ্ধার করে সবুজায়ন, নতুন পার্ক, স্যানিটেশন পরিস্থিতির উন্নতি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নতিসহ নিম্নআয়ের জীবিকার সুযোগ সৃষ্টি করে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে টেকসই উন্নয়নের জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ