নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ১৬ বছরের কিশোরীকে হত্যা মামলায় স্বপন গাজী ও তার স্ত্রী আখি আক্তার তমাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা করে দুজনকে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাস করে কারাদণ্ডের রায় দেওয়া হয়।
একই মামলায় আদালত অবৈধভাবে দেহ ব্যবসার অপর একটি আইনে স্বামী-স্ত্রী দুজনকে ৫ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে দণ্ডিতরা অনুপস্থিত ছিলেন। তারা গ্রেফতার হওয়ার পর আদালত থেকে জামিন নিয়ে আত্মগোপন রয়েছে।
সাজাপ্রাপ্ত স্বপন গাজী (৩৬) পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানার পাঁচদনীয়া গাজী বাড়ির আব্দুল মজিদ ওরফে মান্নানের ছেলে। তিনি ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর এলাকায় পাইলট স্কুল সংলগ্ন রাসেল মিয়ার বাড়িতে স্ত্রী আখি আক্তার তমাকে (৩০) নিয়ে ভাড়া থাকতেন।
রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে মামলার বরাত দিয়ে নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, ২০১৩ সালের ১০ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৬টায় বাড়িওয়ালা রাসেল ও তার স্ত্রী সাবিনা কান্নাকাটির শব্দ শুনে ভাড়াটিয়া স্বপন গাজীর রুমে যায়। সেখানে গিয়ে দেখেন স্বপন ও তার স্ত্রী আখি কান্নাকাটি করছে। তাদের কথাবার্তা সন্দেহ হলে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে স্বামী স্বপ্ন ও আখি মর্জিনা নামে ১৬ বছরের এক মেয়েকে ভায়রার মেয়ে পরিচয় দিয়ে বাড়িতে রাখত। মর্জিনা আক্তারকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে স্বামী স্বপন। এ হত্যায় সহযোগিতা করেন তার স্ত্রী আখি। এসময় পুলিশ তাদের ঘর থেকে নূর জাহান ও নূরুন্নাহার নামে আরো দুজন তরুণীকে উদ্ধার করে। স্বপন গাজী ও তার স্ত্রী আখি তরুণীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে তাদের বাসায় এনে অবৈধভাবে দেহ ব্যবসা করায়। এ ঘটনায় বাড়িওয়ালা রাসেল বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ শেষে আদালত এই রায় দেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই