নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, অতীতের সমাবেশে ঢাকার আশপাশের সব জেলার চেয়ে সবচেয়ে বেশি লোক নিয়ে গেছি আমরা। আমার বই উদ্বোধনের দিন মহাসচিব নিজে স্বীকার করেছিলেন ঢাকার সমাবেশে সবচেয়ে বড় মিছিল নিয়ে আসেন তৈমূর আলম খন্দকার। এবার আমি বহিষ্কৃত, তবে তাতে কিছু আসে যায় না। আপনাদের তৈমূরের নেতৃত্বেই ঢাকায় সবচেয়ে বড় মিছিলটি হবে।
বুধবার বিকালে নারায়ণগঞ্জের মাসদাইর মজলুম মিলনায়তনে ১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, যদি ঢাকা না যেতে পারি, যদি ঘর থেকে বের হতে না দেয়, ডিসি অফিসের সামনে বসে থাকবো। অনেকে বলেছেন নারায়ণগঞ্জের সাতটি থানার মিটিং পয়েন্ট হলো সাইনবোর্ড। সকলের পছন্দ হলে সাইনবোর্ডেই আমরা মিলিত হবো। কীভাবে ঢাকা যেতে হয় আমরা জানি। আমরা পায়ে হেঁটেও ঢাকা গিয়েছি, আবার আগের দিনও গিয়েছি। অবস্থা বুঝে আমরা যাব। আমাদের টার্গেট ১০ তারিখের কর্মসূচি সফল করতে হবে। এটা সফল হলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হয়ে যাবে। তিনি মুক্ত হলে আমাদের সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কথা বলতে লজ্জা করে আমরা এখনও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারিনি। আপনারা চিন্তা করবেন না। আমি দীর্ঘদিন মহানগরে দায়িত্ব পালন করেছি। এখানে অবিভক্ত জেলা থাকাকালীন কাউন্সিলরদের সর্বোচ্চ ভোটে আমি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলাম। তারেক জিয়ার মামলা করতে গিয়ে জেলে চলে যাই। জেলে থাকা অবস্থায় আমাকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক করা হয়, পরে আমি সভাপতি হই। পরবর্তী সময়ে আবারও আমাকে জেলার আহ্বায়ক করা হয়। এক পদে আর কত থাকবো। পদের প্রতি আমার কোনো মোহ নেই। আমি ডাকলে আপনারা উপস্থিত হন, এটাই আমার পাওয়া। অনেকে পদ-পদবি চলে যাওয়ার ভয় থাকার পরেও এখানে আসেন। এখানে জায়গাও দিতে পারি না।
তৈমূর বলেন, আমি কখনও বহুরূপী হইনি। বহুরূপী দল করিনি। এখন বাকিটা দলের ইচ্ছা। দল কী করবে, তাদের ইচ্ছা। ইহকাল ও পরকালে আমার একমাত্র মালিক আল্লাহ। কর্মীদের সাথে আমার রক্তের সম্পর্ক। আমার কোনো চাহিদা নেই। দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার জন্য আমি বলি আসুন সবাই মিলে ১০ ডিসেম্বর সফল করি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই