নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার দাপায় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় রবিউল হাসান ও রাতিন নামক দুই স্কুলছাত্রকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়েছে। এতে ওই দুই স্কুলছাত্র গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়েছে। বুধবার বিকালে ফতুল্লার দাপা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটায় কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা। আহত দুই ছাত্র রবিউল ও রাতিন ফতুল্লা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
এ ঘটনায় আহত স্কুলছাত্র রবিউল হাসানের বড় ভাই সোহাগ বাদী হয়ে বুধবার সন্ধ্যায় হামলাকারী দাপা এলাকার কিশোর গ্যাং শামীম বাহিনীর প্রধান শামীমসহ ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০-১২ জনকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, কিশোর গ্যাং শামীম বাহিনীর প্রধান শামীম, মুন্না, বাইতুল, ইমন ও নয়নসহ বেশ কিছু বখাটেরা দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের ছাত্রীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ, অকারণে মুঠোফোনে ছবি তোলা, পথরোধ করাসহ নানাভাবে বিরক্ত করে আসছিল। পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রবিউল হাসান ও রাতিনসহ বেশ কয়েকজন এর প্রতিবাদ করে। তাই ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার বিকাল ৫টার দিকে কোচিং শেষ করে বাসায় যাওয়ার পথে স্কুলের পূর্ব গেইটে আসা মাত্র রবিউল ও রাতিনকে একটি মাঠে নিয়ে যায় কিশোর গ্যাং এর লিডার শামীমসহ অপর সন্ত্রাসীরা।
পরে সেখানে কাঠের লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে এলোপাতাড়ি ভাবে পেটায় রবিউল ও রাতিনকে।। এতে দু’জনের শরীর, মুখমণ্ডলসহ একাধিক স্থানে রক্তাক্ত জখম হয়। এ ঘটনায় স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে। এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রিজাওয়ান হক দীপু জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে আইনি ব্যবস্থা নেব।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক