রাজশাহীতে তিন বছরের শিশুকে হত্যার অভিযোগে দশ বছরের এক শিশুকে আটক করা হয়েছে। গোদাগাড়ী উপজেলার আলোকছত্র গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। বুধবার সন্ধ্যায় মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত শিশুর নাম সুমাইয়া মাহির (৩)। শিশু দুজন পরস্পর চাচাতো ভাই-বোন।
ওই গ্রামের বাসিন্দা আকিল খান শুভ জানান, বুধবার সকালে জাহানারা বেগম ১০ বয়সী ছেলেকে বাড়িতে রেখে স্কুলে চলে যান। তিনি তানোরের চান্দুড়িয়া এলাকার স্কুলশিক্ষিকা। ছেলেটির বাবা মৃত নূরুল ইসলাম। মা স্কুলে চলে যাওয়ায় ওই বাড়িতে আর কেউ ছিল না। তখন পাশের বাড়ি থেকে শিশু সুমাইয়া মাহি ছেলেটির বাড়িতে খেলতে যায়। এরপর থেকেই মাহিকে খুঁজে পাচ্ছিল না তার পরিবার। শিশুটির সন্ধান চেয়ে অনেকেই ফেসবুকে পোস্টও দেন।
এদিকে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে জাহানারা বেগম দেখেন, তাদের একটি ঘরে তালাবদ্ধ। তবে তালা মেরে রাখার কারণ জিজ্ঞেস করলে ছেলেটি তার মাকে কোনো জবাব দিচ্ছিল না। তখন জাহানারা ওই ঘরের তালা খুলতে গেলেও সে বাধা দেয়। তবে জাহানারা নিজেই তালা খুললে শিশু মাহির বস্তাবন্দি মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার ও ছেলে শিশুটিকে আটক করে।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, শিশু মাহিরের মরদেহ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার গলায় মোবাইল চার্জার পেঁচানো ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে চার্জারের ক্যাবল দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর হত্যার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এদিকে কী কারণ বা কীভাবে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে এখনো পুলিশকে কিছু জানায়নি ছেলেটি।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ