রাজশাহীর বাঘায় চারটি ককটেল ও শতাধিক বাঁশের লাঠি উদ্ধারের ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা করেছে পুলিশ। শনিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের কেশবপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে ককটেল ও বাঁশের লাঠি উদ্ধার করা হয়।
বাঘা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহরিয়ার নাসিম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে পাকুড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি দোস্তল হোসেনকে।
পুলিশ জানায়, রবিবার রাত ১০টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাঘা থানা পুলিশ জানতে পারে উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের কেশবপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির কিছু নেতাকর্মী সংঘবদ্ধ হয়ে নাশকতা করার পরিকল্পনা করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন। এ সময় পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল ও ককটেল মারতে শুরু করে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পাল্টা প্রতিরোধ গড়লে বিএনপি নেতাকর্মীরা পালিয়ে যায়। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৪টি তাজা ককটেল ও শতাধিক বাঁশের লাঠি উদ্ধার করে।
বাঘা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফকরুল হাসান বাবলু বলেন, বিষয়টি পুলিশের সাজানো নাটক। রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় মহাসমাবেশ। এই সমাবেশে যাতে দলীয় নেতাকর্মীরা অংশ নিতে না পারে, সেজন্য পুলিশ পরিকল্পিতভাবে এসব করছে। রাত ১০টার সময় ককটেল ফাটিয়ে বিএনপি’র নেতাকর্মীর নামে নাশকতার মিথ্যা অভিযোগ এনে হয়রানিমূলক মামলা করছে।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বিএনপির লোকজন নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তারা আমাদের ওপর ইট পাটকেল ও ককটেল মারতে শুরু করেন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পাল্টা ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়। এ সময় কেশবপুর স্কুল মাঠ থেকে ৪টি তাজা ককটেল ও শতাধিক বাঁশের লাঠি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই