আদালতের হাজতখানায় যুক্ত হয়েছে ৬০টি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট। বড় সন্ত্রাসী কিংবা জঙ্গি আসামি আনা-নেওয়ার সময় এখন থেকে পুলিশের সদস্যরা বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পরবেন। আসামি ছিনতাইয়ের পর আদালত চত্বরের নিরাপত্তা জোরদারে এমন ব্যবস্থা নেয়া হলো।
পুলিশ সূত্র বলছে, তাদের ৩০টি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও ৩০টি হেলমেট দেওয়া হয়েছে।
আদালতে আরও দেখা গেছে, আসামি আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত আদালত চত্বরে ভ্রাম্যমাণ কোনো দোকানপাট বসতে দেওয়া হয়নি। আগে আদালতে ঢোকার প্রবেশপথের ফটক পুরোপুরি খোলা থাকত। তবে গতকাল সোমবার থেকে পকেট দিয়ে জনগণ ঢুকছেন। এমনকি কোনো ধরনের যানবাহনও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, ‘দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার পর থেকে আদালতে পুলিশের উপস্থিতি বেশি দেখতে পাচ্ছি। এ ধরনের নিরাপত্তা যদি সারা বছর থাকে, তাহলে বিচারক, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থী অনেক উপকৃত হবেন। জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়া কিংবা অন্য কোনো ঘটনা ঘটার আশঙ্কা কমে যাবে।’
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাকিম বলেন, ‘আমরা আগের থেকে অনেক সতর্ক।’
ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) জসিম উদ্দিন বলেন, ‘দুই জঙ্গি আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার পর থেকে আমাদের পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা আরও অনেক বেশি সতর্ক।’
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত