প্রতি বছর শীত এলেই রংপুর অঞ্চলের মানুষ শীতের হাত থেকে রক্ষা পেতে খড়-কুটা জ্বালিয়ে আগুনের উত্তাপ নিতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে মারা যান। আবার কেউ কেউ মারাত্মক দগ্ধ হওয়ার পরে কিছুটা সুস্থ হলেও মানবেতর জীবনযাপন করেন। এসব রোগীর ৯৫ শতাংশই হচ্ছে নারী ও শিশু। গত কয়েকদিনে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শীতের ছোবল থেকে বাঁচতে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে ৪ নারী-শিশু ভর্তি হয়েছে। শীতের প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে আগুনে পোড়া রোগীর সংখ্যা বাড়বে এমনটাই শঙ্কা করছেন বার্ন ইউনিটের সংশ্লিষ্টরা। তবে সরঞ্জামের অভাবে রোগীদের পর্যাপ্ত সেবা দেয়ার প্রস্তুতি এখন গ্রহণ করতে পারেনি রমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিট।
বার্ন ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ওই ইউনিটে ২৪ জন আগুনে পোড়া রোগী রয়েছে। এর মধ্যে গত কয়েক দিনে ৪ নারী-শিশু শীতের হাত থেকে বাঁচতে খড়-কুটা জ্বালিয়ে উত্তাপ নেয়ার সময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শীতের মাত্রা বাড়ার সাথে সাথে আগুনে পোড়া রোগীর সংখ্যা বাড়বে এবং প্রাণহানিও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কিন্তু বার্ন ইউনিটে পর্যপ্ত ওষুধপত্র ও সরঞ্জামাদি নেই। জরুরি ভিত্তিতে এসব সরঞ্জাম সরবরাহ করা না হলে প্রাণহানি সংখ্যা বাড়তে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. এম এ হামিদ জানান, প্রতিবছরই আগুনের তাপ নিতে গিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। এজন্য জনগণের সচেনতা প্রয়োজন। আমরা সব সময়ই পরামর্শ দিচ্ছি এ বিষয়ে। গরম কাপড় পরিধান করা, আগুন না পোহানো এবং বৃদ্ধ ও শিশুদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঘুমাতে যাওয়া ও দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা জরুরি। এ নিয়মগুলো মানলে অগ্নিদগ্ধের সংখ্যা কমবে বলে তিনি মনে করেন।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ কামরুল ইসলাম জানান, বুধবার রংপুর অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠা-নামা করছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা