যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় আবির মাহমুদ (২৮) নামে এক যুবককে কারাগারে পাঠিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
গত মঙ্গলবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-৯ জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আবির বরিশাল গৌরনদী উপজেলার হোসনাবাদ এলাকার আমিনুল ইসলাম বাবুলের ছেলে। নোয়াখালীর সোনাপুরে একটি এগ্রো কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন।মামলার এজাহারসহ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আবিরের সঙ্গে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে খুলনা জেলার বাসিন্দা ওই নারীর বিয়ে হয়। বিয়ের বছরের পর পরই নানাভাবে যৌতুকের জন্য আবির তার স্ত্রীকে চাপ দিতে থাকে। কয়েক দফায় ৫ লাখ টাকা দেওয়ার পরও তার চাহিদা আরো বেড়ে যায়। এজন্য বেপরোয়া হয়ে তার স্ত্রীকে প্রায়ই মারধর করতে থাকে। একই সঙ্গে অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্ক জড়িয়ে পড়ে। এমনকি স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে দিয়ে হেয় প্রতিপন্ন করে। কয়েক দফায় পারিবারিকভাবে বসেও বিষয়গুলো মীমাংসা করা যায়নি।
অবশেষে ২০২২ সালের ১৮ জুলাই স্ত্রীর বড় ভাই মাসুদ আলম রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় আবিরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দম আইনে মামলা করেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের এসআই আফসানা আফরোজ জানান, অভিযক্তের বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ ছিল। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ভুক্তভোগীর ভাই এ মামলা দায়ের করেছিলেন।
মামলার বাদী মাসুদ আলম বলেন, ছোটবোনের সংসার বাঁচাতে যৌতুক হিসেবে ৫ লাখ টাকাও দিই। কিন্তু এতেও তার চাহিদা মেটেনি। মোট ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। বাকি ১৫ লাখ টাকার জন্য বোনকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চলাতেই থাকে। তারই এক পর্যায়ে বোনের হাত ভেঙে দেয় আসামি। আমাদের প্রাণনাশেরও অনেক হুমকি দিয়েছে। অবশেষে আইনে আশ্রয় নিতে বাধ্য হই। কিন্তু আইনের চোখকে ফাকি দিয়ে, ভুল বুঝিয়ে উচ্চ আদালত থেকে দুইবার আগাম জামিন নিয়েছেন। অবশেষে আসামির জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। আমরা চাই তার আইনের সর্বোচ্চ শাস্তি হোক।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত