পশ্চিমবঙ্গ সরকার তিস্তা নদীতে নতুন ২টি খাল খনের মাধ্যমে তিস্তা, ধরলা নদী থেকে ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহারের প্রতিবাদে রংপুরে মানুষ ফুঁসে উঠেছে। প্রতিবাদে মানববন্ধন সমাবেশ হয়েছে। শনিবার বিকেলে রংপুর সিটি করপোরেশনের সামনে তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে এ মানববন্ধন সমাবেশে রংপুর বিভাগের কয়েক শতাধিক নদী সুরক্ষায় আন্দোলনকারী অংশ নেন।
তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সফিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। বক্তব্য রাখেন রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন ও রিভারাইন পিপলের পরিচালক অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ, তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানী, কমরেড শাহাদাত হোসেন ও আব্দুল কুদ্দুস প্রমুখ।
তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের নেতা অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, তিস্তা নদী রক্ষা করা সম্ভব না হলে বাংলাদেশ-ভারতের শতাধিক আন্তঃসীমান্ত নদীর একটিতেও শুষ্ক মৌসুমে পানি পাওয়া যাবে না। সরকারকে অতি দ্রুত তিস্তা পানির ন্যায্য হিসাব আদায় করতে হবে। সেই সাথে নদী রক্ষায় নদী প্রেমিকদের এখনই জেগে উঠতে হবে।
রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, তিস্তা নদীর উজানে ভারত বাঁধ দেয়ায় শুষ্ক মৌসুমে তিস্তা নদীতে পানি থাকছে না। ফলে রংপুর বিভাগের লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুরে কৃষকরা সেচের অভাবে ফসল আবাদ করতে পারছে না। সরকার তিস্তা পানি চুক্তির কথা বলে আসলেও আজ পর্যন্ত সেই চুক্তি করতে পারেনি। একে তো তিস্তা নদীতে পানি নেই, এর উপর ভারত আরও দুটি খাল তৈরি করে তিস্তা-ধরলা নদীর পানি প্রত্যাহার করতে চায়। এটি বাস্তবায়ন হলে এ দুটি নদীর বাংলাদেশের অংশে আর এক ফোটাও পানি থাকবে না। অন্যথায় তিস্তাপাড়ের বিক্ষুদ্ধ মানুষ রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।
এর আগে রংপুর সিটি করপোরেশন মিলনায়তনে সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন নিয়ে সংহতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই