জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রায় তিন হাজার মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করেছেন দলের কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি।
শুক্রবার নিজ নির্বাচনী এলাকা ঢাকা-৪ এর শ্যামপুর-কদমতলী এলাকায় এ খাবার বিতরণ করা হয়।
এদিন, সকাল ১০টায় কদমতলী থানার ৫২ নং ওয়ার্ডের চৌরাস্তা মোড়ে এলাকাবাসীর মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন আবু হোসেন বাবলা। পরে ৫৩ নং ওয়ার্ডের ইসলামাবাদ, ৫৯ নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদবাগ চৌরাস্তা মোড়, ৫৪ নং ওয়ার্ডের বাগিচা এলাকা ও ৫১ নং ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করেন তিনি।
আগামীকাল শনিবার ও রবিবার রাজধানীর শ্যামপুর-কদমতলির আরো অন্তত ১২টি স্পট থেকে প্রায় ৭ হাজার মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করবেন এমপি বাবলা।
দিনব্যাপী খাবার বিতরণ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম প্রচার সম্পাদক শেখ মাসুক রহমান, সুজন দে, কদমতলী থানা জাপার সভাপতি শামসুজ্জামান কাজল, শ্যামপুর থানার সভাপতি কাওসার আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম মোল্লা, কদমতলি থানার সিনিয়র যুগ্ম সহ-সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান, সহ সভাপতি জুয়েল ওসমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল হোসেন মিন্টু, কদমতলি থানার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উজ্জল দাশ, শ্যামপুর থানা জাপার সহ সভাপতি জহিরুল ইসলাম জহির, ৫১ নং ওয়ার্ড জাপার সভাপতি জাহিদ হোসেন, ৫৯ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মো. হোসেন মিয়া, ৫২ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মো. হাসান আলী, ৫৪ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আসাদ মিয়া, ছাত্র সমাজের সাবেক কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহ ইমরান রিপন, স্বেচ্ছাসেবক পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রনি হাওলাদার, যুব সংহতি শ্যামপুর থানার সভাপতি মারুফ হাসান মাসুম, কদমতলি থানার সভাপতি সজিব আহমেদ, তরুণ পার্টি শ্যামপুরে সভাপতি লিটন আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. রোমান হোসেন, শ্রমিক পার্টির কদমতলির সভাপতি রাজন আহমেদ শিশির, সাধারণ সম্পাদক মো. রাহাত হোসেন, শ্যামপুর থানা যুব সংহতির নেতা শাহীন শাহ, মো. আল আমীন, ৫২ নং ওয়ার্ড যুব সংহতির সদস্য সচিব জাহাঙ্গির হোসেন ও পেশাজীবী সমাজ ঢাকা মহানগরের সভাপতি রিয়ন হোসেন ইমন।
এ সময় সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি বলেন, প্রয়াত পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ইসলামী মূল্যবোধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধারণ করে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি যেমন রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম ও শুক্রবার সরকারি ছুটি প্রদান করেছিলেন। ঠিক তেমনি শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী ও বাংলা নববর্ষের দিনেও সরকারি ছুটি প্রদান করেছিলেন। তিনিই প্রথম রাষ্ট্র নায়ক যিনি টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত করেছিলেন। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা ঘোষণার উদ্যোগ পল্লীবন্ধু এরশাদই সর্ব প্রথম নিয়েছিলেন। এরশাদ বাংলাদেশের সড়ক যোগাযোগ সেক্টরে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছিলেন। ১৭ হাজার কিলোমিটার কাঁচা ও ৮ হাজার কিলোমিটার পাঁকা সড়ক এরশাদ নির্মাণ করেছিলেন। একই সঙ্গে আমার নির্বাচনী এলাকা পোস্তগোলায় বুড়িগঙ্গা সেতু সহ সারা দেশে ছোট বড় ৫৮০ সেতু এরশাদ নয় বছরে তার শাসনামলে সম্পন্ন করেছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত