নারায়ণগঞ্জে বিএনপি পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় আটক মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি বিএনপির আটক বাকি নেতাদেরও মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (২৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১ টায় সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড় এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়ো হতে চাইলে পুলিশ তাদের লাঠিচার্জ করে ছাত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় বিএনপি নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে তাদের নিভৃত করতে পুলিশ অন্তত ৫০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে।
এসময় বিএনপির ৫ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহন হন এবং ৫ নেতাকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। আটকদের মধ্যে আছেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদর থানা বিএনপির সভাপতি আনোয়ার প্রধান, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধানসহ ৫ জন।
এদিকে বিকেল সাড়ে ৪ টায় জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আটক সাখাওয়াত হোসেন খানকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। বাকিদেরকেও ছেড়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, আমরা পথ অবরোধ করিনি, গাড়ি ভাঙিনি, রাস্তায়ও উঠিনি। এর আগে আমাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ কোনো কারণ ছাড়াই লাঠিচার্জ ও টিয়ারগ্যাস চার্জ, গুলি করে। আমাদের বহু নেতাকর্মী এতে আহন হন। আমাকেও মারধর করে পুলিশ। পরে আমাকে সহ ৫ জনকে আটক করে নিয়ে আসলেও এখন ছেড়ে দিয়েছে। বাকিদেরও ছেড়ে দেবে বলে পুলিশ বলেছে।
আটকের পর ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) তরিকুল ইসলাম বলেন, আমরা তাদের কার্যালয়ে এনে জানার চেষ্টা করছি তারা কেন সেখানে জড়ো হয়েছিলো, কি তাদের উদ্দেশ্য ছিলো? বিষয়গুলো জানার পর তাদের বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল