খুলনায় শর্তসাপেক্ষে কর্মবিরতি স্থগিত করেছেন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে খুমেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. সাইফুল ইসলাম অন্তর ও সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুজ্জোহা সজীব এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
কর্মসূচি প্রত্যাহারের পর খুলনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরেছেন। সেইসাথে চিকিৎসা সেবা চালু করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
এর আগে বুধবার রাতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় খুলনা মেডিকেল কলেজের সচিব মো. মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয়ে ৫০ জন ওষুধের দোকানিকে আসামি করা হয়।
মামলা দায়েরের পর বুধবার রাতে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিপ্লব ফার্মেসির মালিক মাহমুদুর রহমান বিপ্লব (৩০) ও আবিদ ফার্মেসীর কর্মচারী মীর বায়েজিদকে (২০) গ্রেফতার করে।
এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজেদের মধ্যে বৈঠক শেষে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা মামলার বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার, হাসপাতালে অভ্যন্তরে মডেল ফার্মেসি চালু ও নিরাপত্তার স্বার্থে কলেজ গেটের সামনে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনসহ তিন দফা দাবি জানিয়ে শনিবার পর্যন্ত কর্মবিরতি সাময়িক প্রত্যাহার করেন।
জানা যায়, গত সোমবার রাতে মেডিকেল কলেজের কে-৩২ ব্যাচের এক শিক্ষার্থীর সাথে ওষুধের কমিশন প্রদান নিয়ে ওষুধ ব্যবসায়ীদের বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। এ ঘটনায় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ওষুধের দোকানের মালিক-কর্মচারী, শিক্ষার্থীসহ ১৫-২০ জন আহত হয়।
ইন্টার্নি চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. সাইফুল ইসলাম অন্তর জানান, ইতোমধ্যে একজন আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে। খুলনা সিটি মেয়র ও খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আমাদের সাথে কথা বলেছেন। তাদের প্রতি সৌজন্যতা প্রদর্শন করে আমরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করছি। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের আন্দোলন চলবে। শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প চালু, হাসপাতালের অভ্যন্তরে মডেল ফার্মেসি চালুর দাবি জানাচ্ছি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত