রংপুর অঞ্চলের রেল ক্রসিংগুলো অরক্ষিত হয়ে পড়ায় প্রায়ই ঘটছে প্রাণহানিসহ দুর্ঘটনা। রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল লালমনিরহাট বিভাগের অধীনে আট জেলায় ৪ শতাধিক লেভেল ক্রসিং অধিকাংশই অরক্ষিত এবং অবৈধ। ওইসব রেল ক্রসিংয়ের কোথাও সাবধান সাইবোর্ড লাগিয়ে সচেতনতার সৃষ্টি করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর ও নীলফামারীতে রেল ক্রসিংয়ে দু’জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে একজন অটোচালক রয়েছেন। এদিকে, নীলফামারীতে বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে জেলা সহকারী তথ্য কর্মকর্তা প্রকাশ চন্দ্রের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় সদর উপজেলার দেবীর ডাঙ্গা সড়কের রেলক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
কাউনিয়া উপজেলায় অরক্ষিত রেলগেটে ট্রেনে কাটা পড়ে মাহবুর রহমান নামের এক অটোরিকশাচালক মারা গেছেন।শুক্রবার সন্ধ্যায় কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের তকিপল বাজার এলাকার রেলগেটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ভোররাতে তিনি মারা যান।
এদিকে, রংপুর নগরীর আমবাড়ি লেবেল ক্রসিংটি অরক্ষিত থাকার কারণে পথচারীরা সবসময় আতঙ্কে থাকেন। এ ব্যাপারে কাউনিয়া রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার হোসনে মোবারক বলেন, রেলগেইট নিয়ন্ত্রণ করে রেলের দু’টি শাথা একটি হচ্ছে ট্রাফিক শাখা আরেকটি হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারিং শাখা। গেইটম্যান দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হয়েছে, কোন কাজ হয়নি।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক