রংপুর নগরীতে কবুতর চুরির অপবাদে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে নিমর্মভাবে মারপিট করে রাস্তায় ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মাথাসহ গোটা শরীরে গুরুতর আহত হওয়া ওই ছাত্র রমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় প্রভাবশালী আসামি পক্ষ মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। ভয়-ভীতি অব্যহত থাকায় হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরতে পারছে না ভুক্তভোগী ওই ছাত্রসহ তার পরিবারের সদস্যরা। এদিকে মামলার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, রংপুর নগরীর ধাপ সর্দারপাড়া গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে সিমান্ত (১৩) হাজীপাড়া মাদ্রাসার নুরানী বিভাগে লেখাপড়া করে। গত ১২ আগস্ট রাত ৮টার দিকে সিমান্ত তার বন্ধুদের নিয়ে ধাপ হাজীপাড়ার মনছুর আলীর বাড়ির রাস্তা অতিক্রম করছিল। এ সময় কবুতর চোরের অপবাদ দিয়ে সিমান্তসহ তার বন্ধুদের ধাওয়া করে মনছুর। এতে সিমান্তের অন্য বন্ধুরা ভয়ে দৌঁড়ে পালিয়ে গেলেও সে হতবাক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মনছুর আলী সিমান্তকে পেয়ে বাড়ির ভেতরে নিয়ে গিয়ে গাছের ডাল, লোহার চেইন দিয়ে এলোপাথাড়ি মারপিট করে। মারপিটের এক পর্যায়ে সিমান্তের মাথায় দা দিয়ে কোপ মারা হয়। এতে সিমান্ত অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ সময় মনছুর সিমান্তকে মৃত ভেবে টেনে হেঁচরে বাড়ির সামনের রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। পরে সিমান্তকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে সিমান্ত হাসপাতালের সার্জারী বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় ১৩ আগস্ট রাতে সিমান্তের মা পিংকি বেগম বাদী হয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেছে।
সিমান্তের মা রিংকি বেগম বলেন, কবুতর চুরির অপবাদ দিয়ে আমার নিরাপরাধ ছেলেকে মনছুর ও তার পরিবারের সদস্যরা নির্মমভাবে মারপিট করেছে। সিমান্তের মাথায় আঘাত করে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। আমার ছেলের মাথায় ১২টি সেলাই পড়েছে।
এ ব্যাপারে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানার ওসি মাহফুজার রহমান বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল