বরিশালে নদ-নদীর পানি আগের দিনের চেয়ে আরও বেড়েছে। বৃহস্পতিবার বরিশাল বিভাগের ৬ নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। আরও কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করে প্রবাহিত হয়েছে।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোগ্রাফি বিভাগের বৃহস্পতিবারের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার ভোলার তজুমুদ্দিনে মেঘনা ও সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং এই দুই নদীর পানি দৌলতখান উপজেলায় বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
এদিকে, বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলায় ধর্মগঞ্জ নদীর পানি বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, বরগুনার পাথরঘাটা পয়েন্টে বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, উমেদপুরে কঁচা নদীর পানি বিৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, বলেশ্বর নদীর পানি পিরোজপুর পয়েন্টে ২১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং বেতাগী পয়েন্টে বিষখালী নদীর বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।অপরদিকে, ঝালকাঠী পয়েন্টে বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, বুড়িশ্বর নদীর পানি বাকেরগঞ্জ পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, বরগুনায় বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, ভোলা খেয়াঘাটে তেতুলিয়া নদীর পানি ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং কীর্তনখোলা নদীর পানি ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য নদীর পানিও আগের চেয়ে বেড়েছে।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নদ-নদীর পানি বেড়েছে। এর প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন নদ-নদীর পানিও বেড়েছে। পূর্ণিমা আসন্ন হওয়ায় আগামী কয়েক দিনে দক্ষিণের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন তারা।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত