রংপুরে অভিনব কায়দায় ট্রেনিং সেন্টারের কম্পিউটার সামগ্রী চুরির ঘটনায় পুলিশ ২ আসামিকে গ্রেফতার করেছে। এসময় তাদের কাছ থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকা মূল্যের মালামাল উদ্ধার করেছে।
শুক্রবার দুপুরে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন এসব তথ্য দেন।
উপ-পুলিশ কমিশনার জানান, হাসিবুল হাসান আলিফ (১৫) নগরীর চারতলা মোড় সংলগ্ন ব্র্যাক স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টারে কম্পিউটার প্রশিক্ষণার্থী ছিলেন। প্রশিক্ষণ চলাকালীন সে ওই প্রতিষ্ঠানের সকলের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে এবং প্রশিক্ষণের পরও সেখানে নিয়মিত যাতায়াত করতো। এরই এক পর্যায়ে আলিফ সু-কৌশলে ট্রেনিং সেন্টারের কেচি গেট ও ভেতরের গেটের চাবি পরিবর্তন করে নেয় এবং গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাত ১২ টায় কৌশলে ট্রেনিং সেন্টারে ঢুকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এরপর সিসিটিভি ক্যামেরার সংযোগ বন্ধ করে দেয় এবং পূনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে পুরো সেন্টারের বিভিন্ন ফ্লোরে থাকা ২১টি সিপিইউ, ২৪টি মনিটর, ১টি প্রিন্টার, ২টি পেনড্রাইভ, ১টি স্ক্যানার, একটি মোবাইল ও নগদ ৫ হাজার টাকা চুরি করে। এরপর নিরাপত্তা প্রহরীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ভোর ৫টায় ওই ট্রেনিং সেন্টার থেকে মালামাল বের করে নিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর সেন্টারের লিড কর্মকর্তা মেহেদী হাসান (৩০) কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন। চোরাই মালামাল বদরগঞ্জ থানা এলাকায় রয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ বদরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। এরপর বৃহস্পতিবার আলিফ ও তার বাবা সেলিম আহম্মেদকে (৪৫) গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্য মতে পুলিশ বাহার কাছনার কাচুগ্রাম কাজীটারী গ্রাম থেকে ২১টি সিপিইউ, ২১টি মনিটর, ৪টি প্রিন্টার, ১টি স্ক্যানার উদ্ধার করে।
উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন বলেন, বিগত সময়ে আলিফের বিরুদ্ধে কোন থানায় চুরির মামলা নেই। আলিফ ও তার বাবা সেলিমের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল