কাজের সন্ধানে ঢাকায় গিয়ে আগুনে পুড়ে মারা গেলেন রবিউল ইসলাম (২৭) নামে যুবক। রবিবার (১৯ নভেম্বর) ভোরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারিইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বার্ণ ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো: তরিকুল ইসলাম। তিনি জানিয়েছেন রবিউলের শরীরের ২৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রলয় কুমার সাহা বলেন, একটি স্টিল মিলে শ্রমিকরা ইলিক্ট্রিক চুল্লীতে কাজ করার সময়ে বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে চার জন শ্রমিক দগ্ধ হয়। তাদের মধ্যে রবিউল নামে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। একজন ভর্তি, বাকি দু'জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
বরগুনা সদর উপজেলার পোট্কাখালী গ্রামে মো: সিদ্দিক মিয়ার ছেলে রবিউল। দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল বড়। তার স্ত্রী'র নাম এনি, সে অন্তঃসত্তা।
মৃতের বাবা সিদ্দিক মিয়া বলেন, ছেলে আমার বাড়িতেই ছিল। কাজের সন্ধানে সপ্তাহ খানিক আগে ঢাকা যায়। শুনেছি সে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরিও পেয়েছে। এরই মধ্যে খবর পাই সে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মারা গেছে।
হরতাল অবরোধের কারনে ঢাকায় আসতে পারছিনা, এ সময়ে এখান থেকে কোন গাড়ি ছাড়ছে না । ছেলের কাছে তার চাচাসহ কয়েক জন আত্মীয় আছে। তারাই সব কাজ শেষ করে বাড়িতে নিয়ে আসবে বলে জানিয়েছে।
উলেখ্য, শনিবার দিবাগত রাতে শ্যামপুর এলাকায় একটি স্টিল মিলে বেশ কয়েক জন শ্রমিক কাজ করার সময়ে (লোহা গলানোর) সময়ে সেখানে বিষ্ফোরণ ঘটে, এতে রবিউলসহ চার শ্রমিক দগ্ধ হয়। এদের মধ্যে রবিউলের শরীরই বেশি পরিমান দগ্ধ হয়। বাকিদের মধ্যে আশহিরুল ইসলাম এর ৮ শতাংশ, মাজহারুল ইসলাম এর ১ শতাংশ ও শাহআলম এর সামান্য দগ্ধ হয়। এদের মধ্যে আশহিরুল ভর্তি রয়েছেন, বাকি দু'জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল