রাজধানী ঢাকায় ইফতারের আগে মুহূর্তে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। অফিস শুরুর সময় যানজটের তীব্রতা কিছুটা কম থাকলেও, অফিস শেষে সেটি ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসের বিকালে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ সড়কেই যানবাহনের ব্যাপক চাপ রয়েছে। এতে সড়কগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। গুরুত্বপূর্ণ সিগন্যালগুলোতে যানবাহনের চাপ সামলাতে ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তা ও সদস্যদের হিমশিম খেতে দেখা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বনানী, মহাখালী, বিজয় সরণি, কারওয়ানবাজার, তেজগাঁও, সাতরাস্তা, মগবাজার, বাংলামোটর, মৌচাক, মালিবাগ, শান্তিনগর, কাকরাইল, মিন্টু রোড, রামপুরা, বাড্ডা, নতুনবাজার, পল্টন এলাকায় যানবাহনের তীব্র চাপ রয়েছে। সিগন্যালগুলোতে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে যানবাহনকে। তবে, মেট্রোরেল যেসব রুটে রয়েছে, সেসব রুটে তেমন যানজট নেই।
সাভার-যাত্রাবাড়ী রুটে চলাচলকারী বাসের হেলপার বলেন, ট্যানিক্যাল, কলেজগেট, আড়ং, কারওয়ান বাজারে ব্যাপক যানজট রয়েছে। সকালের তুলনায় বিকালে যানজট বেশি থাকে। আধা ঘণ্টার রাস্তা যেতে দেড় দুই, ঘণ্টা চলে যায়।
এদিকে, যানজটের ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহন আটকে থাকলেও বেশিরভাগ গণপরিবহণে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। বাসের গেটে অনেককে ঝুলতে দেখা গেছে। চৈত্রের গরমে ভিড় ও যানজটে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। অনেকে বিরক্ত হয়ে বাস থেকে নেমে হাঁটা ধরছেন। সারাদিন রোজা রাখার কারণে অনেকে তাও করতে পারছেন না। যানজটে বসে ভোগান্তি নিয়েই অপেক্ষা করছেন বাড়ি ফেরার।
এবার রমজানে সরকারি অফিসগুলোর সময়সূচি ঠিক করা হয়েছে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা। মূলত অফিস শেষে পরিবারের সঙ্গে ইফতার করতে বাসায় ফেরার তাড়া থাকে কর্মজীবীদের। যার চাপ পড়ে সড়কে।
এ বিষয়ে তেজগাঁও ট্রাফিক জোনের অতিরিক্ত ডিআইজি মোস্তাক আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, অফিস ছুটির পর সবাই ইফতার করতে একসঙ্গে বাড়ির পথ ধরে। তার উপর আজকে বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবস। যার ফলে সড়কে যানবাহনের ব্যাপক চাপ রয়েছে। কারণ রাস্তার ধারণক্ষমতার তুলনায় যানবাহনের সংখ্যা অনেক বেশি। তারপরও কোথাও গাড়ি দাঁড়িয়ে নেই। আমাদের পর্যাপ্ত জনবল আছে। পাশাপাশি রমজান ঘিরে বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সবাই যেন ইফতারের আগে বাসায় পৌঁছাতে পারে আমরা সেই চেষ্টা করছি।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত