‘আমার স্বামী মারা গেছেন এক বছর হলো। গত রাতে আমার মেয়ে ফাইরুজ অবন্তিকা মারা গেছে। আমি এ শোক নিতে পারছি না। আমার আরেক ছেলে আছে। আমার মেয়ের এই দুর্ঘটনার সাথে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে ছেলেসহ শেষ হয়ে যাব।’
শনিবার কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁওয়ের বাসায় কাঁদতে কাঁদতে এসব কথা বলেন অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম।
তিনি বলেন, আমার মেয়ে অত্যন্ত উদ্যোমী, আমার মেয়ে মেধাবী। এটাই কি তার অপরাধ? সে তার সেশনে ফার্স্ট, এটাই কি তার অপরাধ? সে জিডি (জেনারেল ডিউটি) পাইলটে টিকেছে, এটাই কি তার অপরাধ? আমি প্রক্টর, চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। কোনো বিচার পাইনি। আমি বিচার না পেলে শেষ হয়ে যাব। আমার কিছুই নেই। নিজে শেষ হয়ে গেলেও কিছুই থাকবে না।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রী ফাইরুজ অবন্তিকা কুমিল্লা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক প্রয়াত জামাল উদ্দিনের মেয়ে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁওয়ের বাসায় সিলিং ফ্যানের সাথে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত সোয়া ১০টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আত্মহত্যার আগে ফেসবুকে দেওয়া দীর্ঘ এক পোস্টে এ ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দোষারোপ করেন অবন্তিকা।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত