জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকাকে বাবার পাশে দাফন করা হবে।
শনিবার ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কুমিল্লা সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে জানাজার নামাজ শেষে শাসনগাছার পারিবারিক কবরস্থানে বাবা প্রফেসর জামাল উদ্দিনের পাশে শায়িত করা হবে অবন্তিকাকে।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম।
মেয়েকে হারিয়ে কেঁদেই চলেছেন তাহমিনা শবনম। গেল বছর দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগে মারা যান তাহমিনা শবনমের স্বামী অবন্তিকার বাবা কুমিল্লা সরকারি কলেজের পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক প্রফেসর জামাল উদ্দিন।
এর আগে বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে কুমিল্লার বাসায় আসে অবন্তিকা। সোমবার আবার তার ঢাকা ফিরে যাওয়ার কথা ছিল।
অবন্তিকার ছোট ভাই জারিফ জাওয়াদ অপূর্ব এবার কুমিল্লা কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। বড় বোনকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ অপূর্ব কান্না করে যাচ্ছেন।
রাতে অবন্তিকার মৃত্যুর খবরে সকাল থেকেই স্বজনরা ভীড় করতে থাকেন অরণী ভিলায়। তারা যখনই সান্ত্বনা দিতে যান অবন্তিকার মাকে তখন অবন্তিকার মা হাউমাউ করে কান্নাজুড়ে দেন।
তিনি বলেন, এক বছর আগে স্বামী হারিয়েছি। এখন আমার সন্তান হারিয়েছি। আমি কি নিয়ে বাঁচব। আমার সন্তানকে যারা আত্মহত্যায় প্ররোচিত করেছে তাদের ফাঁসি চাই।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে দুই একদিন পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁওয়ের বাসায় সিলিং ফ্যানের সাথে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত সোয়া ১০টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আত্মহত্যার আগে ফেসবুকে দেওয়া দীর্ঘ এক পোস্টে এ ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দোষারোপ করেন অবন্তিকা।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত