রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় রাজউকের উচ্ছেদ অভিযানে নকশাবিহীন কয়েকটি ভবনে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একইসাথে দুই ভবনকে ৭ লাখ টাকা জরিমান করা হয়।
বুধবার সকাল ১০টা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়ে বিকালে শেষ হয়। অভিযানে নকশাবিহীন কয়েকটি বহুতল ভবনের আংশিক অপসারণসহ জরিমানা করা হয়।
অভিযানটি পরিচালনা করেন রাজউকের পরিচালক (অডিট ও বাজেট) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুজ্জামান।
মো. কামরুজ্জামান বলেন, রাজউকের নোটিশ অমান্য করে ভবন মালিক নির্মাণ কাজ চলমান রাখায় কয়েকটি বহুতল ভবনের আংশিক ভেঙে ফেলাসহ দুইটি ভবনে জরিমানা করা হয়। একটি বহুতল ভবনে পাঁচ লাখ এবং অপর একটি ভবনে দুই লাখ টাকাসহ মোট সাত লাখ টাকার জরিমানা করা হয়। ডিপিডির উপ-সহকারী প্রকৌশলীর সহায়তায় ১০টি নির্মাণাধীন ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। একই সঙ্গে তারা যেন পরবর্তীতে রাজউকের অনুমোদন ব্যতীত ইমারত নির্মাণ না করে সে বিষয়ে মুচলেকা প্রদান করেন। এছাড়াও ২০টি ভবনের মালিক রাস্তায় জায়গা দখল করে র্যাম্প ও ২টি ভবন মালিক রাস্তার জায়গায় লেবার শেড নির্মাণ করায় তা তাৎক্ষণিকভাবে অপসারণ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, রাস্তার জায়গা দখল করে র্যাম্প ও লেবার শেড নির্মাণ করে মানুষ চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। তাছাড়াও এই এলাকায় যারা ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করবেন, তারা যেন রাজউক থেকে অনুমোদন নিয়ে নকশা অনুযায়ী ভবন নির্মাণ করে এই বিষয়ে সচেতন করা হয়েছে।
মোবাইল কোর্টের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন জোন-৫ এর পরিচালক মো. হামিদুল হক, অথরাইজড অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ অথরাইজড অফিসার মো. মেহেদী হাসান, প্রধান ইমারত পরিদর্শক মো. সাব্বির আহমেদ, ইমারত পরিদর্শক আব্দুল সাত্তার, তুহিন রেজাসহ রাজউকের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত