গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনে যে গণহত্যা চলছে সেটি কোনো ধর্মীয় বিষয় না। এটি একটি জাতিগত হত্যা, মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন, মানবতার চরম বিপর্যয়। তাই মানবতার জায়গা থেকেই আমাদের কথা বলা উচিত, প্রতিবাদ করা উচিত, মানুষ হিসেবে তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।’
শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের চলমান বর্বরতার বিরুদ্ধে জাতীয় সংহতি সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নুরুল হক নুর আরও বলেন, ‘আমেরিকার প্রেসিডেন্টসহ দেশটির পলিসি মেকারদের অধিকাংশ ইসরায়েলের পক্ষে অংশ নিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে মাতব্বরি করার জন্য। কারণ মধ্যপ্রাচ্যে মাতব্বরি করার জন্য ইসরায়েলকে তাদের লাগবে। এজন্য যদি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগে লাগবে।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্রে ইসরায়েলের বর্বরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে গত পাঁচ বছরে কয়টি প্রতিবাদ হয়েছে? ১৮ কোটি মানুষের দেশে কয়জন ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়িয়েছে? আমরা যদি প্রতিবাদ করি, সেটিও যেন গণমাধ্যমে না আসে, প্রচার না হয়, সেই ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। আজকে একদিকে এ সরকার ফিলিস্তিনের পক্ষে মুখে সিম্প্যাথি দেখাচ্ছে, আরেকদিকে বাংলাদেশে ইসরায়েলের দূতাবাস খোলার জন্য পাঁয়তারা করছে।’
ডাকসুর সাবেক এ ভিপি আরও বলেন, ‘ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা নিয়ে সমগ্র পশ্চিমা বিশ্ব তোলপাড়। তাদের হৃদয় জ্বলে। কিন্তু ফিলিস্তিনে হামলা চালিয়ে তাদের বাড়িঘর হাসপাতাল ধুলোয় মিশিয়ে দিচ্ছে, এতে তাদের হৃদয় কাঁদে না। বরং তারা ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নেয়। এটা তাদের ভণ্ডামি, ধোঁকাবাজি, প্রতারণা। এ একই ভণ্ডামি-প্রতারণা করছে বাংলাদেশের শাসক গোষ্ঠী।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরা ও জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক