কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সাম্প্রতিক সহিংসতায় নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন যুবলীগ কর্মী জুয়েল মোল্লা। গত ১৯ জুলাই রাজধানীর উত্তরায় এ ঘটনা ঘটে।
ওই দিন যুবলীগ কর্মী জুয়েলকে প্রথমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা। পরে তাকে পৈশাচিকভাবে হত্যা করে রাস্তায় ফেলে রাখে। একপর্যায়ে তার লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখে তারা। ইতোমধ্যে এই দুই ঘটনার ছবিই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
নিহত জুয়েল মোল্লার বাড়ি টঙ্গীর গাছা থানার চান্দুয়া গ্রামে। তার এক ভাই ও দুই বোন রয়েছে। ছাত্রজীবনে টঙ্গী সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের দিন গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের সঙ্গে ছিলেন তিনি।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ১৬ জুলাই (মঙ্গলবার) সারাদেশে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে তা আরও ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ বেশি হয় ঢাকা ও ঢাকার আশেপাশের জেলাগুলোতে। এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সহিংসতায় দুই শতাধিক নিহতের খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।
সংঘর্ষ চলাকালে তিনজন পুলিশ সদস্য এবং একজন আনসার সদস্য নিহত হয়েছেন। এসময় ১ হাজার ১১৭ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর আহত ১৩২ জন। তিনজন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/একেএ