সাভারে পরিকল্পিত ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন গৃহবধূ। এ ঘটনায় তদন্তে নেমেছে সাভার মডেল থানার পুলিশ। তদন্তে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। যা ঘিরে রহস্য আরো জমাট বাঁধছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাভারের বিরুলিয়ার ইউনিয়নের দত্তপাড়া এলাকার সেতু নার্সারিতে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয গৃহবধূ শান্তনাকে। খুনের পর টুকরো টুকরো করে কাটা হয় তার মরদেহ। ১০ নভেম্বর পর্যন্ত তিনদিন ধরে খণ্ডিত অংশ অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়। সেতু নার্সারি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্লাস্টিক ব্যাগ থেকে মাথা ও দুই হাতের কবজি।
পুলিশের ধারণা, প্লাস্টিক ব্যাগে ভরেই খণ্ডিত অংশ বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেয়া হয়েছে। তবে কারা ফেলেছে, এখনো স্পষ্ট নয়। এদিকে, এই ঘটনায় একটি বটি জব্দ করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে শনাক্ত করা হচ্ছে। গৃহবধূ শান্তনার টিনসেড বাসা থেকে উদ্ধার হওয়া বটি থেকে ফরেনসিক এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞরা নমুনা সংগ্রহ করেন। হত্যা করা হয়েছে এমন আলামত এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। মরদেহের পাশাপাশি চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড কে? আরো কারা এর সঙ্গে জড়িত? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে সাভার মডেল থানার পুলিশ। সাভার সার্কেল ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুর কবির বলেন, গৃহবধূ শান্তনা হত্যায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তার স্বামীকে নিজ বাসা থেকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত নয়নকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কিছু তথ্য জানতে পেরেছি।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিঞা বলেন, নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বোন পারুল বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বুধবার নয়নকে আদালতে পাঠানো হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল