রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে মুঠোফোনে ঝগড়াঝাঁটি করে সুমাইয়া আক্তার (২১) নামে এক নারী আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার যাত্রাবাড়ীর সায়দাবাদের ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত সুমাইয়া টাঙ্গাঈলের কালিহাতী উপজেলার তাজউদ্দিনের মেয়ে। বর্তমানে সায়দাবাদ এলাকায় পরিবারের সাথে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, স্বামীর সঙ্গে মুঠোফোনে ঝগড়াঝাঁটি করে গলায় ফাঁস দেন সুমাইয়া আক্তার। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত পৌনে ৮টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক। তিনি বলেন, মরদেহটি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।
হাসপাতালে মৃতের মা শাহিনুর বেগম বলেন, বছর খানিক আগে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার বাসিন্দা ইতালি প্রবাসী মো. শরিফের সাথে মুঠোফোনে বিয়ে হয় তাদের। বিয়ের পর থেকে স্বামী প্রবাসে রয়েছেন। সব সময় তাদের কথা হতো মুঠোফোনে। মাসখানেক ধরে স্বামীর সাথে মুঠোফোনে মাঝেমধ্যে ঝগড়াঝাঁটিও হতো। এসব নিয়ে মেয়ের মন খারাপ থাকতো। শরিফ তাকে মানসিক নির্যাতন করতো। সে শুধু তাকে না, আমার সাথেও খারাপ আচরণ করতো।
তার মায়ের দাবি, ওই ছেলের মানসিক নির্যাতনের কারণেই অভিমানে গলায় ফাঁস লাগিয়ে তার মেয়ে আত্মহত্যা করে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই