যুবলীগ নেতা নীলফামারী সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে রংপুর মহানগর পুলিশ। রবিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রংপুর নগরীর নগরীর ধাপ বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
শাহিদ মাহমুদ নীলফামারী সদরের থানাপাড়া এলাকার মৃত আনিস উদ্দিন আহমেদের ছেলে। তিনি নীলফামারী সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও হত্যাসহ নাশকতা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে নীলফামারী থানায় মামলা রয়েছে।
রংপুর মহানগর কোতয়ালী থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে নীলফামারী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলা রয়েছে। গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে থাকা এই আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হত্যাচেষ্টা, হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের করা মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা আবু সালেহ নাহিদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রংপুর মহানগর তাজহাট থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার সন্ধ্যায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক আবু সালেহ নাহিদকে নগরীর খামার মোড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার নাহিদ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের পান্থাপাড়া এলাকার আবু তালেবের ছেলে। রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ১২ ব্যাচের ছাত্র তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. হারুন অর রশিদের করা মামলার ৩৫ নম্বর আসামি তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই