বুধবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা
ড. ওয়াজেদ রিসার্চ ইনস্টিটিউট

শিক্ষা কার্যক্রম চালু না হওয়ায় বিপাকে গবেষকরা

কাজ না করে বেতন নিচ্ছেন চাকুরেরা

দুই বছর ধরে ২১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী বসে বসে বেতন নিচ্ছেন। এমফিল ও পিএইচডি কোর্সে গবেষণার জন্য ২৩ জন গবেষক ভর্তিও হয়েছেন দুই বছর আগে। কিন্তু শিক্ষা কার্যক্রম চালু নেই। এমনকি সিলেবাসও প্রণয়ন করা হয়নি। ফলে বিপাকে পড়েছেন ভর্তি হওয়া ২৩ জন গবেষক। দীর্ঘ সময়েও শিক্ষা কার্যক্রম চালু না হওয়ায় তাদের কেউ কেউ গবেষণাই বাদ দিয়েছেন। গবেষণার উদ্দেশ্যে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে ছুটি নিয়ে তা কাজে না লাগায় ক্ষুব্ধ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে আসা গবেষকরা। এ চিত্র বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. ওয়াজেদ রিসার্স ইনস্টিটিউটের। ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ সমস্যা সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল থাকলেও তা সমাধানে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে গবেষকদের অভিযোগ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ড. ওয়াজেদ রিসার্স ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ কে এম নূর-উন-নবী বলেন, রিসার্চ ইনস্টিটিউটের এখনো কোনো ভবন নেই। কোনো সিলেবাস নেই। মাত্র দুটি কক্ষ বরাদ্দ রয়েছে। এ অবস্থায় ইনস্টিটিউটের নিজস্ব ভবন নির্মাণের জন্য ৭০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। আগামী সিন্ডিকেটের সভায় বিষয়টি উত্থাপন করা হবে। উপাচার্যের এ বক্তব্যকে হাস্যকর বলে মন্তব্য করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. পরিমল চন্দ্র বর্মণ বলেন, ভবন না থাকায় এমফিল, পিএইচডির কার্যক্রম শুরু করা যাচ্ছে না, এটা কোনো যৌক্তিক কথা হতে পারে না। যেখানে ইনস্টিটিউটের নয়জন কর্মকর্তা ও ১২ জন কর্মচারী পাঁচ বছর ধরে চাকরি করছেন, সেখানে এ ধরনের কথা অবান্তর। বতর্মান উপাচার্য যোগদান করার ১৮ মাসের মধ্যে এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেননি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সুপারিশ ও আচার্যের অনুমোদন নিয়ে ২০০৯ সালে ড. ওয়াজেদ রিসার্স ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০১১ সালের মার্চ মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭তম সিন্ডিকেট সভায় এই ইনস্টিটিউটে এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি করানোর সিদ্ধান্ত হয়। গঠন করা হয় ইনস্টিটিউটের জন্য বোর্ড অব স্ট্যাডিজ। গবেষকদের একজন তত্ত্বাবধায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের ডিন ড. মতিউর রহমান বলেন, গবেষকরা বড় বিপাকে পড়েছেন। এত দিনেও আমরা বুঝে উঠতে পারিনি, আমাদেরই বা কী কাজ।

সর্বশেষ খবর