শনিবার, ১১ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

নতুন নিয়মে মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশনে ভোগান্তি

অপচয় হচ্ছে সময় ও অর্থের

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভরপাশা ইউনিয়ন পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মো. আসাদুজ্জামান খান। নির্বাচনের প্রাক্কালে দেড়শ সিসির একটি পালসার মোটরসাইকেল কিনেছেন। সময়ের অভাবে মোটর সাইকেলটির রেজিস্ট্রেশন করাতে পারেননি। দাফতরিক কাজে প্রায়ই তাকে বাকেরগঞ্জ উপজেলা সদর এবং বরিশাল নগরীতে যাতায়াত করতে হয় ওই মোটরসাইকেলটি নিয়ে। পথে পথে ট্রাফিক সার্জেন্ট থাকায় প্রায়ই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় তাকে। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটিতে (বিআরটিএ) টাকা জমা দেওয়ার জটিলতায় দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে মোটরসাইকেলটি রেজিস্ট্রেশন করতে পারছেন না তিনি। এ অবস্থায় পড়েছেন নতুন মোটরসাইকেলের শত শত মালিক। তারা রেজিস্ট্রেশনও করতে পারছেন না, আবার ট্রাফিক সার্জেন্টের ভয়ে রাস্তায়ও মোটর সাইকেল নামাতে পারছেন না। মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন ফি বেশি হওয়ায় দীর্ঘ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ১২ মে সরকার রেজিস্ট্রেশন এবং ১০ বছরের রোড ট্যাক্সসহ আনুষঙ্গিক ফি ৫টি ধাপে জমা দেওয়ার সুযোগ করে দেয়। কিন্ত যারা একসঙ্গে এই ফি জমা দিতে সক্ষম তাদের জন্য কোনো সুযোগ রাখা হয়নি নতুন নিয়মে। আর এতেই দেখা দিয়েছে বিপত্তি।  নতুন নিয়মে একজন গ্রাহক রেজিস্ট্রেশন ফি, ২ বছরের রোড ট্যাক্স, নম্বর প্লেট ফি এবং ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট ফি দিয়ে প্রথমধাপে মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন নম্বর পাবেন। এই ২ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর পরবর্তী ৮ বছরে গ্রাহককে ২ বছর পরপর মোট ৪ বার বিআরটিএ’র অনুকূলে নির্ধারিত হারে রোড ট্যাক্স জমা দিতে হবে। নইলে তার মোটরসাইকেলটির রোড ট্যাক্সের কাগজ মেয়াদোত্তীর্ণ হবে। এতে তার সময় এবং অর্থ দুটোই অপচয় হবে।

নতুন নিয়ম চালুর পর বিআরটিএ’র মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশনসহ আনুষঙ্গিক ফি জমা দেওয়ার জন্য নতুন সফট্ওয়্যার ইনস্টল করেছে। এই নতুন সফট্ওয়্যারে সক্ষম গ্রাহকদের জন্য এককালীন রেজিস্ট্রেশন ফিসহ আনুষঙ্গিক টাকা জমা দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়নি। আর এতে দেখা দিয়েছে বিপত্তি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর