বরিশালের বাবুগঞ্জের দেহেরগতি ইউনিয়নের দক্ষিণ রাকুদিয়া গ্রামের বকুল আক্তার চরম দারিদ্র্যে নিমজ্জিত ছিলেন। দিনমজুর স্বামীর আয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকাই তার দায় ছিল। ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়াও করাতে পারতেন না। চার বছর আগে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ) থেকে ১০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে একটি গাভী কেনেন। গাভীর আয় থেকে উপার্জিত অর্থ দিয়ে পরবর্তীতে মাছ এবং সবজি চাষ শুরু করেন। এরপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। মাত্র চার বছরেই স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন তিনি। তার মতো ওই গ্রামের শিউলী বেগম, কহিনুর বেগম, নাসিমা বেগম, ফিরোজা বেগম, মমতাজ বেগম, সোনিয়া বেগম ও শান্তা বেগমসহ অর্ধ শতাধিক নারী এভাবে এসডিএফ থেকে ঋণ নিয়ে এখন দারিদ্র্যের কশাঘাত থেকে মুক্তি পেয়েছেন। এখন তারা গরু পালন এবং পোলট্রি, মাছ ও সবজি চাষ করে ভাগ্যোন্নয়নের মাধ্যমে দিনবদলের স্বপ্ন দেখছেন।
এসডিএফ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এজিএম শাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, চার বছর আগে ইস্পাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড লাইভলি হুড ইমপ্রুভমেন্ট ‘নতুন জীবন’ প্রকল্পটি গ্রহণের আগে এই গ্রামের অর্ধেকের বেশি পরিবার ছিল দারিদ্র্যসীমার নিচে। কিন্তু নতুন জীবন প্রকল্পের করা নারীরা সবাই এখন স্বাবলম্বী।
এসডিএফের চেয়ারম্যান এম আই চৌধুরী জানিয়েছেন, আগামীকাল (আজ) মঙ্গলবার সকাল ৯টায় বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রাকুদিয়া গ্রামে পৌঁছবেন। সেখানে বিশ্বব্যাংকের সাহায্যপুষ্ট ‘দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি’-সহ বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করবেন তিনি। কথা বলবেন সুবিধাভোগীদের সঙ্গে। পরে তিনি উজিরপুর উপজেলার ভরসাকাঠী যাবেন সাইক্লোন সেল্টার পরিদর্শনে। দারিদ্র্য বিমোচনে বরিশালের সাফল্য দেখে দেখে তিনি খুশি হবেন বলে আশা তার।