হারিয়ে যাওয়া পাঁচ বছরের শিশু রোজামনি অবশেষে ফিরে পেয়েছে তার দাদির কোলে আশ্রয়। ঢাকার ধোলাইপাড় এলাকা থেকে নিখোঁজ হওয়ার দুই দিন পর শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে ভাঙ্গা থানা পুলিশের সহায়তায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় শিশুটিকে।
রোজামনির বাবা রতন মিয়া একজন বাসচালক এবং মা মাহি বেগম প্রবাসে থাকেন। শিশুটিকে লালন-পালন করেন তার দাদি শাহিদা বেগম (৫৪)। পরিবারটি দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী এলাকার বিল্লাল মুন্সির বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে।
পুলিশ জানায়, ১০ জুলাই ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌর শহরের উত্তর পাড় বাসস্ট্যান্ডে একা ঘোরাঘুরি করছিল রোজামনি। বাস কাউন্টারের কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। থানায় নিয়ে আসার পর পুলিশ মেয়েটির কাছ থেকে তার নাম, বাবার নাম ও মায়ের নাম জানতে পারে। তবে সে তার বাড়ির ঠিকানা বলতে পারেনি।
পরে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন শিশুটির ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন এবং অন্যান্য থানায় বার্তা পাঠান। একপর্যায়ে শিশুটির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়। শনিবার বিকেলে রোজামনির দাদি ভাঙ্গা থানায় এসে তাকে শনাক্ত করেন। নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশ তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
শিশুটির দাদি জানান, তারা রোজামনিকে খুঁজে না পেয়ে সর্বত্র খোঁজ করেছিলেন। কিন্তু কোনো খবর পাননি। তারা ধারণা করছেন, রোজামনি বাসা থেকে একাই বেরিয়ে কোনো একটি বাসে উঠে ভাঙ্গা চলে আসে, যেহেতু তার বাবার পেশা বাসচালক এবং বাসস্ট্যান্ড এলাকার পরিবেশ তার পরিচিত।
রোজামনিকে ফিরে পেয়ে দাদি আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফ হোসেন বলেন, “আমরা শিশুটিকে নিরাপদে তার পরিবারের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছি, এটাই আমাদের সার্থকতা।”
পুলিশের সময়োচিত পদক্ষেপ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় এই হারানো শিশু ফিরে পেয়েছে তার আপনজনের কাছে, যা একটি মানবিক দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রশংসিত হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল