শিরোনাম
শনিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ইসলামী দলগুলোর ঐক্য সময়ের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইসলামী দলগুলোর ঐক্য সময়ের দাবি

মুফতি সাখাওয়াত

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের অন্যতম সংগঠক ও ইসলামী ঐক্যজোটের সাংগঠনিক সচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন বলেছেন, ইসলামী দলগুলোর ঐক্য সময়ের দাবি। তিনি বলেন, বর্তমান সময় ইসলামী দলগুলো নিজেরা মিলে প্লাটফর্ম তৈরিতে ব্যর্থ হলে রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি ইসলামী দলগুলোর কর্ণধারদের বুঝতে হবে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় একথা বলেন তিনি। বিএনপির সঙ্গে যুক্তফ্রন্টসহ আরও কয়েকটি দল নিয়ে জাতীয় জোট প্রসঙ্গে মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, বিএনপি ছাড়া বাকি দলগুলোতে ফিগার আছে বটে; কিন্তু সাংগঠনিকভাবে ওই দলগুলো খুবই দুর্বল। এ ছাড়া দলগুলোর জনসম্পৃক্ততা নেই। এই জোট মিডিয়া কাভারেজ পেলেও মাঠে-ময়দানে তেমন কোনো ভূমিকা পালন করতে পারবে বলে আমার মনে হয় না। নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জোট প্রসঙ্গে মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে জোট একটি চলমান ইস্যু। জোট হয়, জোট ভাঙে। কোনো জোট কার্যকর হয় আবার কোনো জোট ভেঙে যায়। কয়েকদিন আগে আমরা ৭২ দলের জোট দেখেছি। আসলে জনসম্পৃক্ত দলগুলো যদি রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে জোটে আবদ্ধ হয় তাহলে কেবল একটি কার্যকর জোট দেশের মানুষ দেখতে পাবে। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন সামনে রেখে আসন কিংবা ভাগাভাগির লক্ষ্যে যে জোট গঠিত হয় এবং বড় দলগুলো নিজেদের স্বার্থে ছোট ছোট নাম বা প্যাডসর্বস্ব দলগুলো নিয়ে যে জোট করে তা কোনোভাবেই দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে না। ইসলামী দলগুলো প্রসঙ্গে মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হলেও ইসলামী দলগুলোর জনসম্পৃক্ততা রয়েছে। ইসলামী দলগুলোর ওপর এদেশের মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা রয়েছে। সে জন্যই ইসলামী দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হলে তারা যে কোনো কর্মসূচি সফল করতে সক্ষম। অতীতে যখনই ইসলামী দলগুলো মাঠে নেমেছে তখনই সফলতা পেয়েছে। ইসলামী দলগুলো ব্যক্তিস্বার্থ বা দুনিয়ার লোভে রাজনীতি করে না।

 তারা দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করে। ইসলামী দলগুলো যদি মেহনত করে তাহলে আগামী নির্বাচনে ৫০টির বেশি আসনে জয়ী হতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস। ইসলামী ঐক্যজোটের আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই ইসলামী দলগুলো নিয়ে একটি জোট গঠনের তৎপরতা চলছে। শেষ পর্যন্ত জোট না হলে আমরা এককভাবে নির্বাচনে অংশ নেব।

সর্বশেষ খবর