বৃহস্পতিবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

অগ্নিঝুঁকিতে রংপুর নগরীর বহুতল ভবন

যন্ত্রপাতি সংকটে ফায়ার সার্ভিস ♦ প্রশাসন নির্বিকার

শাহজাদা মিয়া আজাদ ও রেজাউল করিম মানিক

রংপুর নগরীতে প্রতিদিন বাড়ছে বহুতল ভবন। এদিকে পাল্লা দিয়ে নগরজুড়ে চলছে জলাধার ভরাট। যত্রতত্র গড়ে উঠছে দাহ্যপদার্থ রাখার গুদাম ও গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান। বহুতল বিশিষ্ট ভবন। ফলে বাড়ছে অগ্নিকাে র ঝুঁকি। এই ঝুঁকির মধ্যেও রংপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স আঞ্চলিক অফিসে এখনো যুক্ত হয়নি আধুনিক সরঞ্জাম। শুধু তাই নয় নগরীর প্রায় ৯০ ভাগ বহুতল ভবনে কোনো অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ও যন্ত্রপাতি নেই। জানা গেছে, গভীর পানিতে উদ্ধার কাজ, অধিক উচ্চতায় আগুন নেভানো এবং দুর্ঘটনার শিকার মানুষকে উদ্ধারে আধুনিক সরঞ্জাম রংপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স বিভাগের নেই। অতি পুরনো প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি দিয়ে চলছে অগ্নিনির্বাপণের কাজ। ওই অফিসের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তাদের অধিক উচ্চতায় অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার কাজের জন্য স্নোরকেল ল্যাডার এবং হাই টার্ন্টেবল ল্যাডার (টিটিএল) বা বিশেষ মই নেই। ফলে অগ্নিকাে  বিশেষ করে নগরীর বহুতল ভবনের বাসিন্দাদের বসবাস করতে হচ্ছে ঝুঁকির মধ্যে। এ ছাড়া নগরীতে প্রতি বছরই নতুন নতুন বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের এখনো ভরসা ৪৫ ফুটের মই। সিটি করপোরেশনের নগর পরিকল্পনাবিদ নজরুল ইসলাম বলেন, বহুতল ভবন বলতে সাধারণত সপ্তম তলা এবং এর ঊর্ধ্ব ভবনকে বোঝায়। গত সাত বছরে সিটি করপোরেশন থেকে দুই শতাধিক বাণিজ্যিক এবং আবাসিক বহুতল ভবনের নকশা পাস করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত নির্মিত হয়েছে ৪০টির মতো। রংপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. ইউনুস আলী বলেন, কৌশলে বহুতল ভবনের আগুন নেভানোর সক্ষমতা ফায়ার সার্ভিসের আছে। তবে বহুতল ভবনের আগুন নেভাতে প্রয়োজনীয় স্নোরকেল এবং টিটিএল ল্যাডার নেই। ৪৫ ফুট ল্যাডারই একমাত্র ভরসা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর