শনিবার, ২ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

সুনামগঞ্জে চপলের পক্ষে একাট্টা মহাজোট

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী খায়রুল হুদা চপলের পক্ষে একাট্টা মহাজোট। গত সংসদ নির্বাচনে সদর আসনে লাঙ্গলকে বিজয়ী করতে গড়ে ওঠা ঐক্যের রেশ ধরে এবার নৌকা প্রার্থীকে জয়ী করতে কাজ করছেন জোটের বড় দুই শরিক আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা।

ফলে সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের যে অন্য তিন ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী রয়েছেন, ভোটের মাঠে তারা ফ্যাক্টর হতে পারছেন না। বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেনÑ সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি মনিষকান্তি দে  মিন্টু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা রাসিদ বখত নজরুল। অতীতের নির্বাচনগুলোয় সদর উপজেলা জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেন। এবার আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর প্রতি সমর্থন জানিয়ে প্রার্থী দেয়নি জাপা। ফলে আওয়ামী লীগ ও জাপার ভোট ভাগাভাগি হচ্ছে না এবার। আর নির্বাচনে এর সুফল পাবেন নৌকার প্রার্থী খায়রুল হুদা চপল। এদিকে, বিএনপির কঠোরভাবে উপজেলা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণায় দলটির নেতা-কর্মীদের মাঝে ভোট নিয়ে আগ্রহ নেই। এ অবস্থায় নৌকার বিপরীতে আওয়ামী লীগবিরোধী ভোটেও ভাগ বসাতে পারছেন না বিদ্রোহীরাÑ মন্তব্য সংশ্লিষ্টদের। মহাজোট নেতারা জানান, গত উপজেলা নির্বাচনে সদর আসনে আড়াল থেকে আওয়ামী লীগের যেসব নেতা মহাজোট মনোনীত প্রার্থীর বিরোধিতা করেছিলেন, এ নির্বাচনে সাংগঠনিক শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেনÑ এ ভয়ে প্রকাশ্যে কেউ সেই পথে হাঁটছেন না। ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীকে নৌকার প্রার্থী বানানোর অভিযানে’ পরাজিত হয়ে তারা এখন অনেকটাই আত্মসংযমী অবস্থানে রয়েছেন। তবে তাদের কর্মী-সমর্থকরা প্রকাশ্যে নৌকার বিরোধিতা না করলেও দলীয় প্রার্থীর পক্ষে তাদের কাউকে মাঠে কাজ করতে দেখা যায়নি। মহাজোট নেতা-কর্মীদের দাবি, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির ঐক্যের ওপর ভিত্তি করে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সুনামগঞ্জ সদর আসনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নৌকাই বিজয়ী হবে। এ ক্ষেত্রে বিদ্রোহী প্রার্থীরা ফ্যাক্টর হবেন না বলে মনে করছেন তারা। জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম-আহ্বায়ক রশিদ আহমদ, যিনি গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সমর্থন নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন; এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচনে অংশ নেননি।

তিনি বলেন, ‘বিগত সংসদ নির্বাচনে সদর আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে বিজয়ী করাতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা রাতদিন পরিশ্রম করেছেন। যে কারণে আমরা তাদের কাছে ঋণী। নৈতিক দায়বদ্ধতা থেকে আওয়ামী লীগের বিপরীতে এবার প্রার্থী হওয়া থেকে বিরত থেকেছি। আর নৌকাকে বিজয়ী করতে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর