রবিবার, ১০ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

ক্রসফায়ারের নামে কাউকে হত্যা করা হচ্ছে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে ক্রসফায়ারের নামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কোনো বাহিনী কাউকে হত্যা করছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, মাদকবিরোধী অভিযানে গেলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। তখনই আত্মরক্ষার্থে গুলি করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে কাউকে হত্যার উদ্দেশ্যে নয়। গতকাল দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁও বিজি প্রেস মাঠে আয়োজিত মাদকবিরোধী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সুশীলসমাজের অনেকেই সমালোচনা করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নাকি নিরপরাধীদের ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করছে। আমি স্পষ্ট করে বলছি, ক্রসফায়ারের নামে কোনো বাহিনী কাউকে হত্যা করছে না। যখন পুরো বিশ্ব হিমশিম খাচ্ছিল তখন আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় জঙ্গিবাদকে নিয়ন্ত্রণ করেছি। জঙ্গিবাদের মতোই মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করে মাদকের নতুন আইন করেছি। এ আইনের কঠোর প্রয়োগ হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। কারাগারে ধারণ ক্ষমতা ৩৫ হাজার। অথচ আছে ৯৫ হাজার কয়েদি। এর অধিকাংশই মাদকসংশ্লিষ্ট মামলায় গ্রেফতার। কঠোরতার কারণেই মাদকসেবী, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক কারবারিদের জায়গা কারাগারে। মাদকসংশ্লিষ্ট যারাই সারেন্ডার করবেন, ব্যবসা ছাড়বেন, তাদের শেষ সুযোগটা দেওয়া হবে। নইলে জেলে যেতে হবে। আর অস্ত্রের ঝনঝনানি যদি দেখাতে চান তাহলে কী পরিণতি হতে পারে তা আপনারাই (মাদকসংশ্লিষ্টরা) জানেন। আমরা তালিকা করেছি, কাউকে ছাড়ব না। আমি বিজিবিকে নির্দেশনা দিয়েছি কোনোভাবে সীমান্ত দিয়ে যেন মাদক না ঢোকে। কোস্টগার্ডকে বলেছি উপকূলে নজরদারি রাখতে। এর পরও মাদক আসছে। মাদক আমাদের যে কী ক্ষতি করছে তা ঘরে ঘরে জানাতে হবে। সচেতনতা বাড়াতে হবে।’

বিশেষ অতিথি হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু বলেন, ‘যুবসমাজ, ছাত্রসমাজ দৃঢ়প্রত্যয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। আজ যুবসমাজের বড় অংশ মাদকাসক্ত। তাদের জন্য আমরা কী করতে পেরেছি? আমাদের সন্তানরা যেন মাদকাসক্ত না হয়। মাদক নেয় কিনা খোঁজ রাখা, খেয়াল রাখা দরকার।’

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের (ডিএনসি) মহাপরিচালক (ডিজি) জামাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘ডিএনসি আর ঠুঁটো জগন্নাত নয়। জনবল দ্বিগুণ করেছে। মাদকাসক্তির সংখ্যা যাই হোক না কেন, বাড়তে দেওয়া যাবে না, এটা বন্ধ করতে হবে, মাদকের অস্তিত্ব বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না।’

সর্বশেষ খবর