বৃহস্পতিবার, ২০ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

শিল্পকলায় ‘দ্রৌপদী পরম্পরা’

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

শিল্পকলায় ‘দ্রৌপদী পরম্পরা’

মহাভারতের দ্রৌপদী চরিত্রকে উপজীব্য করে শিল্পকলা একাডেমিতে ভিন্নধারার গল্পের নাটক ‘দ্রৌপদী পরম্পরা’ মঞ্চায়ন করেছে নাটকের দল থিয়েটার (আরামবাগ)। এটি ছিল দলের ৪০তম প্রযোজনার নাটক। গতকাল সন্ধ্যায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চায়ন হয় নাটকটি। প্রবীর দত্তের রচনা ও নির্দেশনায় ‘দ্রৌপদী পরম্পরা’র বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন তাহমিনা আক্তার, আকেফা আলম, ইউশা আনতারা প্রপা, রফিকুল ইসলাম, শংকর চন্দ্র সরকার, লেনিন ফিরোজী, প্রবীর দত্ত প্রমুখ। একই সময়ে জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হয় ঢাকা মৌলিক নাট্যদলের নাটক ‘সুবচন নির্বাসনে’। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্  স্মরণ : একক বক্তৃতানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কালজয়ী কথাসাহিত্যিক সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্কে স্মরণ করেছে বাংলা একাডেমি। গতকাল বিকালে একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে ‘সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ : রাষ্ট্র ও রাজনীতির অন্তঃস্বর’ শীর্ষক একক বক্তৃতা প্রদান করেন কথাসাহিত্যিক ইমতিয়ার শামীম।

একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে এতে স্বাগত ভাষণ  দেন। একাডেমির ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।

একক বক্তৃতায় ইমতিয়ার শামীম বলেন, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ ইতিহাসের এক ক্রান্তিকালে সাহিত্যসাধনা শুরু করেছেন। শিক্ষাজীবনে বামপন্থি চিন্তার সংস্রব সমকালীন সমাজে তার স্বতন্ত্র মানস-ভূগোল নির্মাণে ভূমিকা রাখে। তিনি নিজে অগ্রসর হয়েও তার সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য নিজের রচনাকে সচেতনভাবে পিছিয়ে রাখতেও দ্বিধাহীন ছিলেন অর্থাৎ লেখক হিসেবে গণমানুষের সমানুপাতিক অগ্রযাত্রায় বিশ্বাসী ছিলেন তিনি।

সভাপতির ভাষণে জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্র রচনার পরিমাণ সংখ্যায় বেশি না হলেও প্রত্যেকটিই গুরুত্বপূর্ণ এবং দিক-উন্মোচনকারী। উপন্যাস, গল্প, নাটক-সবক্ষেত্রেই তিনি বিশিষ্টতার দাবিদার। ‘একটি তুলসীগাছের কাহিনী’র মতো গল্প সমগ্র বাংলা সাহিত্যেই বিরল।

প্রদর্শনী ‘ব্রাত্যজন’ : লেখক, গবেষক ফিলিপ গাইনের আলোকচিত্র নিয়ে ধানমন্ডির দৃক গ্যালারিতে শুরু হয়েছে ‘ব্রাত্যজন’ শিরোনামের একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী। সামাজিকভাবে বাদ পড়া, পিছিয়ে পড়া মানুষদের ১৫০টি ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে এ প্রদর্শনী। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, চা শ্রমিক, বেদে, কায়পুত্র, যৌনকর্মী, ঋষি, হরিজন, জলদাস এবং বিহারি জনগোষ্ঠীর জীবন পিছিয়ে পড়া মানুষদের জীবন, দুঃখ, অপমান, সংগ্রাম এবং আনন্দের মুহূর্তগুলো উঠে এসেছে আলোকচিত্রীর ক্যামেরার ফ্রেমে।

গতকাল বিকালে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অধ্যাপক হোসেন জিল্লুর রহমান, সাহিত্যিক হরিশংকর জলদাস, দৃকের পরিচালক আলোকচিত্রী শহিদুল আলম প্রমুখ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন প্রদর্শনীর আলোকচিত্রী ফিলিপ গাইন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী মোয়াজ্জেম হোসেন।

প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সব শ্রেণির দর্শনার্থীর জন্য উন্মুক্ত থাকবে এই প্রদর্শনী।

২৫ জুন শেষ হবে সাত দিনের এ প্রদর্শনী।

সর্বশেষ খবর