বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

জন্মাষ্টমী নিয়ে ১০ নির্দেশনা ডিএমপির

নিজস্ব প্রতিবেদক

জন্মাষ্টমী ঘিরে রাজধানীজুড়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এবারই প্রথম জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রার পেছনে ট্রাকে সাউন্ড সিস্টেম (স্পিকার) ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, শোভাযাত্রা উদ্যাপনকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের হামলার হুমকি নেই।

জন্মাষ্টমী উপলক্ষে কাল ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে বাহাদুর শাহ পার্কে গিয়ে শেষ হবে। শোভাযাত্রার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপির পক্ষ থেকে ১০টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রা চলাকালে পুরান ঢাকার প্রতিটি রাস্তার পাশের ভবনের ছাদে অবস্থান করবে পুলিশ সদস্য। বিভিন্ন স্থান থেকে শোভাযাত্রায় আগত ট্রাক ও পিকআপকে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল দিয়ে সুইপিং করা হবে। এ ছাড়া আয়োজক কমিটিকে নিজেদের পরিচয়পত্রসংবলিত পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবী মোতায়েন করতে বলা হয়েছে। শোভাযাত্রার রুট : ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির থেকে পলাশী মোড়-জগন্নাথ হল-কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার-দোয়েল চত্বর-হাই কোর্ট বটতলা-সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল-ফিনিক্স রোড (পুলিশ সদর দফতরের সামনে দিয়ে)-গোলাপশাহ মাজার-বঙ্গবন্ধু স্কোয়ার-গুলিস্তান (সার্জেন্ট আহাদ বক্সের সামনে দিয়ে)-নবাবপুর রোড-রায়সাহেব বাজার মোড় হয়ে বাহাদুর শাহ পার্ক পর্যন্ত।

 এ ছাড়া শোভাযাত্রা চলাকালে যাতে যানজট না হয় সেজন্য ২৩ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত এ সড়ক ব্যবহার না করার জন্য গাড়িচালক ও ব্যবহারকারীদের অনুরোধ করা হয়েছে।

১০ নির্দেশনা : জন্মাষ্টমী শোভাযাত্রার রুটে কোনো ধরনের যানবাহন পার্কিং না করা; রুট এলাকার আশপাশের সব দোকান শোভাযাত্রা চলাকালে বন্ধ রাখা; উচ্চৈঃস্বরে পিএ/সাউন্ড সিস্টেম না বাজানো; শোভাযাত্রায় অংশ নিতে হলে শুরুতেই প্রবেশ করতে হবে, মাঝপথে শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া যাবে না; হ্যান্ডব্যাগ, ট্রলিব্যাগ, বড় ভ্যানিটি ব্যাগ, পোঁটলা, দাহ্য পদার্থ, ছুরি, অস্ত্র, কাঁচি, ক্ষতিকারক তরল, ব্লেড, দিয়াশলাই, গ্যাসলাইট ইত্যাদি সঙ্গে নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া যাবে না; শোভাযাত্রা চলাকালে রুটে কোনো ধরনের ফলমূল ছোড়া যাবে না; রাস্তায় অহেতুক দাঁড়িয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না; সন্দেহজনক কোনো ব্যক্তি বা বস্তু পরিলক্ষিত হলে তৎক্ষণাৎ নিকটস্থ পুলিশকে অবহিত করা; শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে ভলান্টিয়ার (স্বেচ্ছাসেবী) ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পরামর্শ মেনে চলা এবং ব্যারিকেড, পিকেট ও আর্চওয়ে ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত পুলিশকে দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর