রোহিঙ্গারা যাতে নির্ভয়ে নিজ দেশে স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণভাবে প্রত্যাবর্তন করতে পারে- সেটা নিশ্চিত করে মানবিক এ সমস্যা সমাধানে চীনকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। জবাবে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং এ ব্যাপারে তার দেশ জোরালো ভূমিকা রাখবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
গতকাল সংসদ ভবনে স্পিকারের কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতে তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের প্রসার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার চীন। বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও জোরদার করা হবে। তিনি বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও বাণিজ্যে চীনের ভূমিকার প্রশংসা করেন। এ সময় তিনি এসব সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, চীনের কারিগরি সহায়তা নিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ হচ্ছে। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। এই সেতু রাজধানীর সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
চীনের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। আঞ্চলিক সংযোগ বৃদ্ধি এ অঞ্চলের সব দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বয়ে আনবে।
